
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার ঘোষণায় ইসরায়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ইসরায়েলের জন্য “স্বস্তিদায়ক” বলে উল্লেখ করেছেন।
একইসঙ্গে সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড চলমান গাজা যুদ্ধের অবসানের দিকে একটি পদক্ষেপ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
অবশ্য হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলের এই দাবি এখনও নিশ্চিত করেনি হামাস। তবে বাইডেন বৃহস্পতিবার আরও বলেন, সিনওয়ারের দাবিকৃত এই হত্যাকাণ্ড চলমান সংঘর্ষের “রাজনৈতিক নিষ্পত্তির’ একটি সুযোগ সামনে এনেছে।
গত বুধবার গাজার রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা জানত না তারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। পরে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধানকে হত্যার দাবি করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সিনওয়ারকে হত্যা এবং পরিচয় নিশ্চিত করার বিষয়ে ঘোষণা করার পরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের জন্য একটি ভালো দিন। আজ আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বিশ্বের কোথাও কোনো সন্ত্রাসী বিচার থেকে পালাতে পারবে না, তা যতই সময় লাগুক না কেন।”
বাইডেন আরও বলেন, সিনওয়ারের পাশাপাশি হামাসের আরও নেতাদের “অবস্থান শনাক্ত” করতে ইসরায়েলি বাহিনীকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, গত বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের লাশ পায় তারা। এরপর আজ নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই লাশটি সিনওয়ারেরই ছিল।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর