নওগাঁ জেলা নির্বাচন কার্যালয় চলছে অব্যবস্থাপনায়। মানা হচ্ছে না অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা। এমন কি কার্যালয়ের সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে অনিয়ম।এক খাতের অর্থ দিয়ে অন্য খাতের অর্থ পরিশোধও দেখানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেনের নওগাঁ জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান,অধিকাংশ মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে কিছু অনিয়ম হয়।ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের সেই সব কার্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নিয়ম মেনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দেওয়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নওগাঁ জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাজিরা রেজিস্টারে সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও আউটসোর্সিং কর্মচারীদের রেজিস্টারে মাস শেষে প্রত্যয়ন এবং ছুটির হিসাব রাখা হয় না।কোনো পত্রজারী হলে পত্র জারী রেজিস্টার পত্রের বিষয় লিপিবদ্ধ থাকে না।গাড়ির লগ বইয়ে ২৬ মে এর পরে থেকে গাড়ির লগ বইয়ে কোনো হালনাগাদ নাই। এছাড়া প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৪ কিলোমিটার গাড়ি চলাচল করে বলে উল্লেখ করেছে যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কোনো সভার হলে তার অ্যাপায়ন বিল প্রদান করতে হলে সভার নোটিশ ও হাজিরা যুক্ত করার পর বিল প্রদান করতে এক্ষেত্রে এ নিয়ম রক্ষা করেনি এ জেলা কার্যালয়।আর্থিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। যাহা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া
২০১৬ সালের পর থেকে ব্যালট পেপার প্রাপ্তি ও বিতরণ রেজিস্টার ২০১৬ সালের পরে হালনাগাদ নাই।একইসঙ্গে বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত রেজিস্টার হালনাগাদ রাখে না নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের এ কার্যালয়।অন্যদিকে ২০১৮ সালের পর থেকে নির্বাচনি দ্রব্যাদি প্রাপ্তি/ক্রয় ও সংগ্রহ এবং বিতরণ রেজিস্টার হালনাগাদ করা হয়নি।
কার্যালয়ের মনিহারি ক্রয় করা হলেও স্টক রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। বিভিন্ন বিলে একাধিক ভাউচার ব্যবহার করা হলেও ভাউচারের ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করা হয় না , ভাউচারের বিল/মেমো নাম্বার থাকে না অন্যান্য মনিহারি খাতের ভাউচারের অপর পৃষ্টায় স্টক রেজিস্টারের পৃষ্টা নাম্বার লিখে রাখার নিয়ম থাকলেও তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। এছাড়া একাধিক বিল উত্তোলন করা হলেও রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত বা বিতরণ দেখানো হয়নি।
অন্যদিকে ২০২১ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে ক্যাশবহি স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর নেয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিমাসে ১৪৪ লিটার ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তা অমান্য করে মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ লিটার জ্বালানি ব্যবহার করেছে।
এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ক্রয় করা হয়েছে প্রিন্টারের টোনার যা পিপিআর, ২০০৬ অনুযায়ী ক্রয় পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর