চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মো. ফিরোজ খান (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার ছোট দারোগার হাট বাজারের পশ্চিম পাশে লালানগর গ্রামের তাহের মঞ্জুর কলেজ সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজ খান উপজেলার উত্তর কলাবাড়িয়া গ্রামের জিন্নাত আলী হাজী বাড়ির মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে এবং ২ নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্বজনরা জানান, ফিরোজকে তার বোনের বাড়ি থেকে খালি জমিতে ডেকে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ বোনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ফুফাতো ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁর ভাই ফিরোজ খান যুবলীগের রাজনীতি করতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতেন না। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর এক বোনের বাড়িতে থাকতেন। গতকাল শুক্রবার রাত একটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তাঁকে ওই বাড়ি থেকে ডেকে খালি জমিতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে বোনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যুবলীগ করার কারণেই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, এক ব্যক্তিকে হামলা করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরোজ খান নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এখনো সীতাকুণ্ড থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। নিহত ফিরোজের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির চারটি মামলা আছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর