আমতলী সময় মেডিকেয়ার এন্ড হাসপাতালের বৈদ্যুতিক তারে পৃষ্ঠ হয়ে তরুনী আহত হওয়ার ঘটনায় ভবনের ছাদে ওঠার দেয়ালে লাল রং দিয়ে বড় অক্ষরে লেখা ছিল বিনা অনুমতিতে ছাদে ওঠা সম্পূর্ণ নিষেধ।
উল্লেখ্য, বরগুনা আমতলী উপজেলায় সময় মেডিকেয়ার এন্ড হাসপাতালে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল সারে ৪টার সময় মার্জিয়া (২০) নামে এক তরুনী ক্লিনিকের ছাদে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আহত তরুনী মার্জিয়া ঘটনার দিন সকালে ছাদে ওঠার চেষ্টা করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বাঁধার কারণে যেতে পারিনি। পরে ঐদিন বিকালে সারে ৪টার দিকে ক্লিনিকের কর্মীরা কাপড় শুকাতে ছাদে গেলে এই ফাঁকে মার্জিয়া ছাদে ওঠে ফোনে কথা বলার জন্য।
ধারনা করা হচ্ছে, ক্লিনিকের ভবনের ছাদে কোল ঘেষে যাওয়া আনুমানিক দের থেকে দুই ফুট দূরত্বে থাকা লাইনের বৈদ্যুতিক তারে ফোনে কথা বলতে বলতে আছড়ে পড়ে তরুনী আহত হন।
এ ঘটনায় আহত মার্জিয়ার মামা মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যার সত্যতা নিশ্চিত করেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম। আহত তরুনীর মামা বাদি মো. গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা জন্য কথা চলছে।
এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোন অবহেলা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সময় মেডিকেয়ার এন্ড হাসপাতালের পরিচালক পলাশ তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঘটনাটি সত্যি দুঃখজনক! আমাদের ক্লিনিকের পক্ষ থেকে তাকে সাবধান করা হয়েছিল কিন্তু ওই তরুনী নিষেধ উপেক্ষা করে ফোনে কথা বলার জন্য ভবনের ছাদে গেলে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শিকার হন। খবর পেয়ে আমাদের ক্লিনিকের লোকজন আহত তরুনীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পর আহত তরুনীর চিকিৎসা খরচ সময় মেডিকেয়ার এন্ড হাসপাতাল বহন করছে এবং রোগীর নিয়মিত যাবতীয় খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি দু পক্ষের মীমাংসার কথা চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর