• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৩ মিনিট পূর্বে
কামরুল হাসান
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৩ দুপুর
bd24live style=

গতবছর অক্টোবরে কেমন ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

ছবি: সংগৃহীত

৩ সদস্যের সংসার সালাউদ্দিনের। বাবা-মা আর নিজে। ছোটখাট একটা চাকুরি করে ঢাকাতে। যে বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে দিনের পর দিন। কখন বাস ভাড়া বাঁচিয়ে কখনও বা খেয়ে না খেয়ে পয়সা বাঁচিয়ে সংসারের ঘানি টানছে সালাউদ্দিন। সপ্তাহের বাজার একসাথে করাই তার অভ্যাস কিন্তু এখন আর পারছে না। বেশি দামে অল্প কিছু বাজার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাকে। 

গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর আসায় বুক বেধেছিল সালাউদ্দিন যে সকল পণ্যের দাম হাতের নাগালে চলে আসবে। অথচ তা আর সহজে আসছে না। স্যোশাল মিডিয়াতে শুধু বাজার নিয়ে হতাশার গল্পই দেখছে নিউজ ফিডে। তার এই হতাশায় মধে্য যে পোস্টগুলো স্যোশাল মিডিয়াতে দেখতে তাদের বেশিরভাগই সারমর্ম “ আগেই ভালো ছিলাম”।

তাহলে কি আগেই ভালোছিলাম আমরা ? গতবছর এই সময়কি এর চেয়ে দাম কম ছিল ? চলুন তারই একটা পোসমার্টেম করে আসি। 

অক্টোবর ২০২৩ এর বাজারদর:

সবচেয়ে যে পণ্যটি বেশি বিক্রি হয় বাজারে তা হলো ডিম। গতবছর ডিমের দাম অক্টোবর মাসে ছিল ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা। ১৩ই অক্টোবর ২০২৩ এর চ্যা নেল আইয়ের “আবারও বেড়েছে ডিমের দাম” শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়, “মাঝে কিছু দিন দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ছাড়িয়েছে দেড়শ’ টাকা ডজন। খুচরা বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি পিচ ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ১২ টাকা। সে হিসেবে এক ডজন ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হওয়ার কথা ১৪৪ টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ”

অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানি উজে একই দিনে ডিম নিয়ে শিরোনাম ছিল, “এক বছরে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ১২.৬৩ শতাংশ”। সেখানে তারা লিখেন, “এছাড়াও দুই দিনের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে প্রতি ডজনে ১০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন লাল ডিম ছিল ১৫৫ টাকা। আজ প্রতি ডজন লাল ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা, সাদা ডিম ডজন প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।  ”

এবার অন্য-অন্য পণ্যের খবর কেমন ছিল জানা যাক। গতবছরের ২৭ই অক্টোবর বাংলানি উজে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়,  প্রতি কেজি বেগুন ৬০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি দাম ছিল,  সোনালির কেজি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে প্রথ মআলোর গতবছরের ২৭ অক্টোবরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গতবছর, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। আলুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। 

২০ অক্টোবর ইত্তে ফাকের শিরোনাম ছিল, “লাগামছাড়া সবজির বাজার, দাম কমেনি মাছ-মাংসেরও”। 

সেখানে তারা জানান, ঐসময়ে এছাড়া আলু ৫০-৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মূলা ৭০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কাটা টুকরো বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০, উস্তা ১০০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্রতি পিস জালি ৪০-৫০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে লাল শাকের আঁটি ৩০-৪০ টাকা, লাউ শাক ৬০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে ফার্মের মুরগির ডিম ডজনে ১৫৫ এবং হালিতে ৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিমের হালি ৭০-৮০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অক্টোবর ২০২৪ এর বাজারদর:

১৮ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রথ মআলো সংবাদ থেকে জানা যায়, ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে। 

একই দিনে সম কাল একটি সংবাদ প্রকাশ করে বাজার দরের উপরে সেখানে তারা জানান,  কাঁকরোল ৮০-১০০, পেঁপে ৩০-৪০, মুলা ও পটোল ৬০-৭০, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০, বরবটি ১০০-১২০, গোল বেগুন ১৩০-১৪০, লম্বা বেগুন ১০০-১২০, টমেটো ১৮০-১৯০, করলা ৮০-৯০, ধুন্দল ও ঝিঙে ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া কাচাঁমরিচ বিক্রি হচ্ছে, ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। গত বছর এ সময়ে আলুর বাজারে অস্থিরতা ছিল। এবার সেই পরিস্থিতি দেখা যায়নি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০-২৮০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি কোথাও ৬২০, কোথাও ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এবছরের মত গতবছর দেশে এতপরিমান বন্যা হয়নি। বন্যার কারনে দেশের বেশিরভাগ এলাকাই ছিল নিমজ্জিত। এতে উৎপাদনের মারাত্মক ঘাটতি পরে। এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত হয়ে আছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও দেশের ভেতরে টানা বৃষ্টির কারণে আটটি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

বন্যা আরও বিস্তৃত হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরি, ফেনী, হালদা নদীর পানি সাতটি স্টেশনে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com