তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি রিভিউ আবেদনের ওপর আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এর শুনানি হবে।
এদিন আদালতে বিএনপি মহাসচিবের রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ শিশির মনির। পরে আদালত চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আজীবনের জন্য ক্ষমতায় থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য সবধরনের চেষ্টা করে। সবশেষ দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) পক্ষ থেকে পৃথক দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। যেহেতু আবেদন দুটো একই বিষয়ে তাই আমরা একসঙ্গে এর শুনানির জন্য বলেছি। এর অংশ হিসেবে আগামী ২৪ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে ২০১১ সালের ১০ মে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলেও সে সময় ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয় এ ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
রায়ে আদালত বলেন, আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই আবেদনটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯৬ এই নির্দেশের পর থেকে অবৈধ ও সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো। তবে আইনসম্মত না হলেও (প্রয়োজনের কারণে আইনসম্মত এবং জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন- সুপ্রাচীনকাল ধরে চলে আসা নীতিমালার ভিত্তিতে) আগামী ১০ম ও ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করা ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায়ই হতে পারে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর