সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের লামাকাজি এম এ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জের সকল গণপরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ।
আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গণপরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সভার মাধ্যমে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন মালিক শ্রমিক পরিবহনের নেতারা।
পরিবহন সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন,এম এ খান সেতুটি সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি এলাকায় অবস্থান। এই সেতুটিতে গত ৪০ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল মাত্র সাড়ে ৭ কোটি টাকা। দীর্ঘ ৪০ বছরে হাজার কোটি টাকা আদায় হলেও টোল থেকে রেহাই পাচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে এই টোল আদায় বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি আবারও টোল আদায় শুরু করেছে। এ সেতুর টোল আদায় বন্ধ করা না হলে সিলেট বিভাগ জুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর পূর্বে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী এমএ খান সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। সোমবার দুপুরে শহরের মল্লিকপুরস্থ সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির মহাসচিব জুয়েল আহমেদ, জেলা সড়কপরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মুকুল মিয়া, বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুরজাউল কবির, কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, জেলা সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কালা মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা হিউম্যান হলার সভাপতি মছন মিয়া, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সুহেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল হক, হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মতিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য,সেতু সুরমা নদীর উপরে দিয়ে এটি সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য সেতুটি স্থাপিত হয় ১৯৮৭ সালে। এডমিরাল এম,এ খান ছিলেন একজন বিমান বাহিনীর মেজর তাহার নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর