ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কতিপয় নেতারা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে এবং এর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদের এ নেতা।
গতকাল মঙ্গলবার রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবে গণ অধিকার পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুস সোবহান, উপজেলা সমন্বয়ক সোহরাব হোসেন, হরিপুর উপজেলা সুমন সরকারসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে মামুন অভিযোগ করেন চাঁদাবাজ ও দখলদারের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসে দুলাল নামে এক লোকের সাথে আমার কথা হয় তিনি ওই অফিসের কোন স্টাফ না হলেও তবে বিভিন্ন লোকের কাজকর্ম করে দেন। এ নিয়ে তার সাথে বাকবিতণ্ডা হলে পরে বিষয়টি সহকারী কমিশনার ভূমিকে জানায়।
এরই মধ্যে দুলাল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পলাশ চৌধুরী,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বী হুসাইন,পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিঠুন ইসলাম,ছাত্রদল নেতা আরজুসহ ১৫ থেকে ২০ জন বিএনপির নেতাকর্মী তাকে ভূমি অফিসের গেইটে আসতে বলে বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করে। এমন অবস্থায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পরবর্তীতে মামুনকে নিয়ে বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের বাসায় বসা হয়। মামুন অভিযোগ করে বলেন,ওই বাড়িতে তাকে বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আটক রেখে বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ছাত্রদলের ওই নেতারা। এছাড়াও বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান গণ অধিকার পরিষদের রাজনীতি রাণীশংকৈলে করা যাবে না বলে হুমকি দেয়।
মামুন বলেন, তিনি বিএনপির সভাপতির বাড়ি থেকে কোন রকমে থানায় ফোন করে পুলিশের সহায়তায় তিনি সেখান থেকে প্রাণে বাঁচেন। মামুন আরো বলেন, ছাত্রদল নেতা আরজু তাকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের নিরাপত্তা দাবির পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন বলেন, মামুন তাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে। তিনি দেশটির প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এছাড়াও সাংগঠনিক যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি তদন্ত সাপেক্ষে নেবেন বলে মন্তব্য করেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(চলতি দায়িত্বে) সফিকুল ইসলাম বলেন, গণ অধিকারের মামুনুর রশিদের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সার্কেল এসপির নির্দেশনায় বিষয়টির তদন্ত চলছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর