
মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বড় ফরজ হলো নামাজ। নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে কোরআন ও হাদিমে। আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছে, যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, অনেকে আছে মসজিদে যান, তবে সামনের কাতারে নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানি না, বা জানার আগ্রহ হয় না।
প্রথম কাতারে নামাজ আদায় ফজিলত বিষয়ে নবীজির অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আজানে ও প্রথম কাতারে কী (ফজিলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, লটারির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হতো, তাহলে অবশ্যই তারা লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত।
জোহরে নামাজ প্রথম ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফজিলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের নামাজ (জামাআতে) আদায়ের কী ফজিলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা তাতে উপস্থিত হতো। (বুখারি ৬১৫, মুসলিম ৪৩৭)
হাদিসে এসেছে, যারা প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করে, তাদের জন্য ফেরেশতারা কল্যাণের দোয়া করেন। বারা ইবনে আজিব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের কাতারের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে গিয়ে আমাদের পায়ের গোড়ালি ও বক্ষসমূহ হাতের দ্বারা সোজা করে দিতেন এবং বলতেন, তোমাদের কাতার বাঁকা করো না। যদি এরূপ করো তবে তোমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হবে।
আরো বলতেন, মহান আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারসমূহের ওপর রহমত বর্ষণ করে থাকেন। (আবু দাউদ ৬৬৪) নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর জন্য তিনবার দোয়া করেছেন। হজরত ইরবাজ বিন সারিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন আর দ্বিতীয় কাতারের মুসল্লিদের জন্য একবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। (সুনানে ইবনে মাজা ৯৯৬, মুসনাদে আহমাদ ১৭১৪১)
অন্য হাদিসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম কাতার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। হজরত আবু সাঈদ আল খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাহাবাগণকে পেছনের কাতারে দেখে বললেন, সামনে এসো এবং আমার অনুসরণ করো, অতঃপর দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা তোমাদের অনুসরণ করবে।
এমন কিছু লোক সব সময় থাকবে, যারা নামাজে পেছনে থাকবে। আল্লাহ তাদের (নিজ রহমত হতেও) পেছনে রাখবেন। (মুসলিম ৪৩৮, আবু দাউদ ৬৭৯)
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর