
জেলার সদর উপজেলার ভাদসা গ্রামে বাড়ির লোকজনকে বেঁধে রেখে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় তাদের সবাইকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দাসরা খাঁপাড়ার সূর্য ফকিরের ছেলে ফজলু, আমের আলীর ছেলে তাজেল, সদরের পূরানাপৈল এলাকার ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের আব্দুল গফুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও হামছায়াপুর পালির দোলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুন হোসেন।
জয়পুরহাট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর খাজা সামছুল ইসলাম বুলবুল মামলার বিবরণ দিয়ে বলেন, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা গ্রামের গোলাম মাহমুদ মন্ডল রাতের খাবার খেয়ে পরিবারসহ ঘুমিয়ে পড়েন। সে রাতে একদল ডাকাত তার বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারপিট করে হাত-পা বেধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন বাড়ির মালিক গোলাম মাহমুদ মন্ডল। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার আদালত ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি একই মামলায় আরেকটি ধারায় তাদের সবাইকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি খাজা সামছুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড : ফরিদ উদ্দিন ও এ্যাড : বজলুর রহমান।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর