কসকা সাব জোনাল অফিসের অধীনে লেমুয়া, কসকা, ফাজিলপুর, ফরহাদনগর সহ আরও কয়েকটি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গ্রাহকদের অভিযোগ, ঝড়ের বাতাসের গতি বাড়লে তার ছিড়ে যায় নইলে ফিউজ কেটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। কিন্তু এর পরেও বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসেই বেশি আসে। গ্রাহক সেবা ঠিক মত না পেলেও বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হয় অধিক। বিল দিতে বিলম্ব হলে মাইকিং করে বিল চাওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস স্বরুপ সোমবার (২২ অক্টোবর) দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি পর রাত ১০ টা হতে সকাল ১০ টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা লেমুয়ার নেয়ামতপুর, দক্ষিণ চাঁদপুরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল গ্রাহকরা।
অফিস সূত্রে জানা যায়, আনন্দবাজারে বৈদ্যুতিক ফিউজ কেটে যাওয়ার ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এই এলাকার স্থানীয় শরিফুল ইসলাম জানান, সামান্য বাতাস কিংবা বজ্রপাত হলে এই এলাকায় আর বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে ফ্রিজের রক্ষিত মালামাল নস্ট হয়ে হাজার টাকা লোকসান হয়। বৈদ্যুতিক মোটর, মোবাইল সব অচল হয়ে পড়ে। এতে স্থবির হয়ে যায় কার্যক্রম।
আরেক ভুক্তভোগী সেলিনা পারভিন জানান, আমার ছেলে আগামীকাল দেশের বাইরে চলে যাবে। সে সকালে ৯ টায় বাড়ি ছাড়বে। বিদ্যুৎ না থাকায় খুব একটা বিড়ম্বনায় পড়েছি আমরা। বন্যার সময় ৬ দিন বিদ্যুৎ ছিল না। কিন্তু বিল আসছে ১৮০০। মাসিক বিল হিসেব করলে ৬ দিন বিদ্যুৎ ছিল না, ৪ দিন ফ্রিজ চালাই নাই। এখানেই ১০ দিন শেষ তাহলে বাকি ২০ দিনে এত টাকা কিভাবে আসে?
এছাড়াও একাধিক গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ থাকা না থাকার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে কসকা যোগাযোগ করলে ধলিয়ায় যোগাযোগ করতে বলে। আবার ধলিয়ায় যোগাযোগ করলে কসকা যোগাযোগ করতে বলে। এভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। আবার কসকার অভিযোগ নাম্বারে ফোন দিলে প্রায় সময় নাম্বার ব্যস্ত থাকে।
এ বিষয়ে কসকা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফারুক জানান, বৈদ্যুতিক তার হতে ডান ও বামে ১০ ফিট করে প্রত্যেক জায়গায় কোন গাছ না থাকে তাহলে যেকোনো ঝড়ে ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন সম্ভব হয়। কিন্তু মানুষ তাতে রাজি হয় না। এভাবে গাছ কাটা যায় না। এ কারণে এ সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয়।"
বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তিনি জানান, জাতীয় ভাবেই বিদ্যুৎ এর দাম বাড়তি। দাম কমলে বিলিং ও কমবে। এরপরও অভিযোগ থাকলে গ্রাহক সরাসরি আমার কাছে আসলে আমি দেখব।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর