
ভারতের নলিকোটা এলাকায় পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে গত চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন শেখ ফরিদ। তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম আরও জানান, গত চারদিন ধরে তার স্বামী কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন, এখনও বাড়ি ফিরছেন না। কোন সংবাদও তারা জানতে পারছেন না। তবে সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা তাদের বাড়িতে এসে জানিয়েছেন তার স্বামীকে খাসিয়ারা প্রথমে আটক করে পরে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমার স্বামী লাশ টা অন্তত ফিরে পেতে চান। চান শেষবারের মত দেখতে আর সন্তানদের দেখাতে। মুসলমান হিসাবে লাশের দাফন কাফনের সুযোগ তার জন্য বিজিবি ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এমনি হৃদয় বিধায়ক ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকায়। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে ও এলাকায়। শেখ ফরিদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা লাউড়েরগড় গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে অবৈধ ভাবে লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকার যাদুকাটা নদী দিয়ে জিরো লাইন অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে নৌকা নিয়ে চলে যায় ৩০ থেকে ৪০ জন বারকি শ্রমিক। পরে ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যের নলিকাটা থানার ঘুমাঘাট বস্তি সংলগ্ন নদীতে পাথর উত্তোলন করতে থাকে।
একপর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়ারা সংঘবদ্ধ হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে তাদের। এসময় সবাই সাঁতরে এপারে আসতে পারলেও শেখ ফরিদকে আটক করে খাসিয়ারা। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরে খাসিয়ারা বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। সকালে সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা এসে পরিবারকে এসব তথ্য জানায়।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন,লোক মুখে আমরাও খবর পেয়েছি একজন শ্রমিক অন্যায় ভাবে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। আমি এখনও বলতে পারছি না, তিনি সীমান্তের ওপারে গিয়ে খুন হয়েছেন বা নিখোঁজ আছেন।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কোনো মাধ্যম থেকে আমাদের কে এই বিষয়টি জানানো হয়নি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার নিয়ম অনুযায়ী থানায় জিডি এন্ট্রি করতে হবে,পরে পুলিশ আমাদের জানালে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর