এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি সহ গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাসের পর মাস চলছে এমন টালবাহানা এমনটি জানান অনেকে। সংলিষ্ঠ ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ২/৪/৫ লাখ সহ যত লাখ টাকার চেক ই আনা হোক দেওয়া হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে ও পরিচিত হলে দিচ্ছে নাহলে পরে আসার জন্য বলতেছে।এতে দূরদূরান্ত হয়ে আসা গ্রাহকদের চরম উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।এমনকি অনেকে টাকা না পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রতিবেদক ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে যায়।সরেজমিনে গেলে দেখা যায় এরকম ১০ জন গ্রাহক টাকার জন্য বসে আছে।এর মধ্যে শামসুন্নাহার ৬ লাখ, নাসরিন সুলতানা ৫ লাখ, প্রতিমা রাণী পালের ৪ লাখ টাকা জমা হলেও ক্যাশ দিতে পারছে না ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, তাসলিমা আক্তার নামের মহিলাটি ২৮ লাখ টাকা ব্যাংকের কাছে জমা রাখে। তার মধ্যে ১৭ লাখ ডিপিএস করা। বাকিগুলো এফডিআর করা। তার বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে বিধায় ডেভলপাররা তার কাছে টাকা চাচ্ছে। তিনি দেশের বাইরে থাকেন।এখন ব্যাংক তার টাকা দিতে পারছে না।
মঙ্গলবার সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা যায় ফেনীর বিশিষ্ট বোরকা ব্যবসায়ী সুমনের ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ এ টাকা তিনি উত্তোলন করতে চাইছেন।কিন্তু পারছেন না।ফলে তার ব্যবসায় নেমেছে ধস।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় নিউজের সূত্রমতে, ১৫০ কোটি টাকা ইউনিয়ন ব্যাংককে প্রদান করা হয়। কিন্তু সেখান হতে প্রতি ব্রাঞ্চ পাচ্ছে মাত্র ২ লাখ টাকা। এতে ৫০০ গ্রাহককে লেনদেনে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার নুরুল আমিন বলেন"ব্যাংকের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা এখন দেশে নেই। এতে ব্যাংকের পর্যাপ্ত টাকার সংকট থাকার কারণে সবাইকে টাকা প্রদান করা যাচ্ছে না।এ কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর