ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বীকে (২৪) আটক করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বিশেষ অভিযানে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তবে গত ১৮ জুলাই ফজলে রাব্বি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি নেন বলে জানা গেছে। এমনকি তিনি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বলে তার জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
গ্রেপ্তার হওয়া ফজলে রাব্বী টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদি গ্রামের সবুজ শিকদারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় ফজলে রাব্বী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলায় সরাসরি অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে গোপন সংবাদে ফজলে রাব্বীর অবস্থান জানতে পেরে শনিবার রাতে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডে অভিযান চালিয়ে ৩৯ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
তার সহপাঠী বলেন, ফজলে আগে ছাত্রলীগ করত। তবে জুলাই আন্দোলনের নিমর্মতা দেখে সে ১৮ জুলাই ছাত্রলীগের পদ অব্যাহতি নেন। তবুও কেন তাকে পুলিশ আটক করছে আমাদের বোধগম্য নয়। তবে সে আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল তা আমরা জানি না। তবে সে আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুকে লেখালেখি ও নৈতিকভাবে সমর্থন করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন ফজলে রাব্বী। আন্দোলনে তার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর