সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা করায় সাবেক এক সেনা সদস্যকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ অঞ্চলে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য মো. শাহিন শেখ। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মহল্লার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। বর্তমানে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর মন্ডলপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. গোলাম সরোয়ার খান নবাব জানান, হত্যাচেষ্টা ও হুমকির অভিযোগে শাহিন শেখ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরেল শাহিন শেখ বলেন, এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আমি অ্যাম্বুলেন্স ও রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করে আসছি। এ অবস্থায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুব আলী তার সহযোগীদের নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওইদিন বাসায় যাওয়ার পথে ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরপর ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি এনায়েতপুর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। এদিকে মামলার বিষয়টি জানতে পেরে ইয়াকুব ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১ অক্টোবর আবারও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে বলে। না করলে হত্যার হুমকি দেয়। নিরাপত্তার জন্য গত ৩ অক্টোবর এনায়েতপুর থানায় আমি জিডি করি। এরপর ইয়াকুব আরও ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৪ অক্টোবর লোকজন নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। তখন ইয়াকুব আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। শাহিন বলেন, আমি পরিবার-স্বজনদের ছেড়ে দুরে এসে ব্যবসা করছি। এখন আমার জীবন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইয়াকুব আলী বলেন, আমি চাঁদাবাজির কোন ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে করা মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন ইয়াজদানি থানায় জিডি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার বলেন, জিডি ও মামলা তদন্ত চলছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর