• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২ ঘন্টা পূর্বে
রাশেদুল ইসলাম রাশেদ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৭ দুপুর
bd24live style=

তিস্তার ভাঙনে বিপর্যস্ত সুন্দরগঞ্জ, পুনর্বাসন-ত্রাণ সহায়তার দাবি

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। কানি-চরিতাবাড়ি, লখিয়ারপাড়া, পাড়াসাদুয়া, চর-মাদারীপাড়া ও বোয়ালীর চরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট এবং বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বহু পরিবার নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে।

প্রতিদিন ঘরবাড়ি হারানো এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে, চরের পথে বা রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকেই গৃহপালিত পশুপাখিসহ অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয়ে থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে অধিকাংশ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের দাবি দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী এবং পুনর্বাসন সহায়তা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবি, নদীভাঙন ও বন্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর চরের কারণে পানির প্রবাহ তাদের বসতভিটার দিকে ধাবিত হয়ে ভাঙন ত্বরান্বিত করছে। ফলে বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। দুর্গত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সহায়তার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

কানি চরিতাবাড়ি গ্রামের নদীভাঙনের শিকার আবদুল মতিন মিয়া বিডি২৪লাইভ'কে বলেন, এবারের নদীভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বাপ-দাদার ভিটে হারিয়ে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলাম। কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, গত সপ্তাহ থেকে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে কারও কোনো নজরই নেই। কখন যে নদী ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় সেই ভয়ে আছি। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সন্তানদের নিয়ে সারারাত জেগে থাকি। 

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম বিডি২৪লাইভ'কে বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে এই ইউনিয়নের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন। তবে এই দুর্যোগের সময় তাদের পরিবারের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর জন্য চার দফায় ১২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া জিইউকে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওয়ালিফ মন্ডল বিডি২৪লাইভ'কে জানান, ভাঙনের কারণে এখন পর্যন্ত ২৮২ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, তাই আরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি বিশেষ ভিজিএফ চাল প্রদান করা হয়েছে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com