• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৯ মিনিট পূর্বে
আব্দুল ওয়াদুদ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:৫৬ বিকাল
bd24live style=

সাবেক স্বামী ও তার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে নারীর সংবাদ সম্মেলন

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বগুড়ায় এ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী ও তাঁর নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর বগুড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ ওই নারীর নাম মোছা: রিমু। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।  তবে তিনি বর্তমানে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

বগুড়া প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে  এ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী মাহবুব সাঈদীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর একটি মেলায় দেখা করি এবং আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।  ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আমাকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেন মাহবুব সাঈদী।  আমার বাবা সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন ভালো ইনকাম করতে এবং সেখানে অ্যাকসিডেন্ট করে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি হতে কিছু টাকাও পায়। এর মধ্যেই মাহবুব সাইদী আমার পরিবারের ও আমার বাবার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কেও অবগত হয়। মাহবুব সাইদী একজন ছিল প্রচণ্ড অর্থলোভী ও নারী পিপাসু প্রকৃতির লোক যা আমার আগে জানা ছিল না। আমার বাবার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সে একটা ফাঁদ তৈরি করে। অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশান নামের কোম্পানি খোলার কথা বলে এবং আমাকে ২০ শতাংশ শেয়ার মালিক করার কথা বলে আমার বাবার থেকে ৫০ লাখ টাকা নেয়। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি এই টাকা ও মালিক হওয়ার শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ও মাহবুব সাঈদী চুক্তিপত্রে সাক্ষর করি। এরপর ব্যবসায়ী সম্পর্কে জড়ানোর পর মাহবুব সাইদী আমার সাথে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে তার স্ত্রী ছেলে থাকা সত্ত্বেও সে আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। এবং আমি ডিভোর্সি হওয়ায় আমার বাবা মাকে ম্যানেজ করে সে ২০২২ সালে ৬ এপ্রিল আমার হাকির মোড়ে ভাড়া বাড়িতে রেজিস্ট্রেশন কাবিন নামা মূলে দশ লাখ টাকা দেনমোহরানা ধার্যে বাঁকী রেখে বিবাহ সম্পন্ন করে।

রিমু বলেন,  আমাকে কোম্পানির ম্যানেজিং পর্যায়ে নিয়োজিত করে দেয় যার ফলে কোম্পানির ম্যানেজার রুবেলের অনিয়ম কার্যক্রমের ব্যাপারে জানতে পারি। আমি তার বিভিন্ন অর্থনৈতিক জালিয়াতি ধরি এবং কোম্পানি থেকে সাপ্লাইকৃত জেনারেটরের স্টিকার পরিবর্তন করে বেশি কেভিএ দেখানোর জালিয়াতির ব্যাপারে মাহবুব সাইদীকে সতর্ক করি। এ ব্যাপারে মাহবুব সাইদী বলে বড় কোম্পানি চালাতে গেলে একটু এদিক সেদিক করতেই হয়। এইসব ব্যাপার আমার নজরে আসা ও মাহবুব সাইদীর বড় বউ এর সহযোগিতায় রুবেলের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে মাহবুব সাইদীর সাথেও আমার সম্পর্কের টানাপড়েন হয়। সেই সময় আমাকে কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়া বা অন্যান্য কাজের অধিকার বন্ধ করে দেয়। এরপর আমার বিনিয়োগের টাকার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তারপর সে ধীরে ধীরে আমাকে সরানোর পাঁয়তারা করে। সে ম্যানেজার রুবেলের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আকন্দসহ তার ছেলেপেলেদের নিয়ে আমাক চার মাথায় মাহবুব সাইদীর চাচার কাজী অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীদের জিম্মির মুখে আমার ও আমার মা এর স্বাক্ষর নেয়। এখানে আমাকে কোনো দেনমোহরের ও খোরপোশ, ব্যাবসায়িক নিয়োগের কোনোপ্রকার অর্থ পরিশোধ না করে টাকা না দিয়ে উলটা হুমকি ধামকি দেয় এই ব্যাপারে কথা বললে প্রাণে মেরে ফেলবে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সেখান থেকে চলে যাই। যাওয়ার সময় অপরিষোধিত যাবতীয় পাওনা দাবি করলে মাহবুব সাইদী সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে। আমাকে এবং আমার মা কে তার চাচার কাজী অফিস থেকে বের করে দেয়।

রিমু আরও বলেন, তারপর আমি আমার বাবার বাড়ীত অবস্থান করি এবং ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল জোরপূর্বক কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করে নেয়ার জন্য ১৮/০৫/২২ তারিখে আমি অপহরণ ও দেনমোহরের জন্য ৮৩১ সি/২২ নং মামলা করি। এর প্রেক্ষিতে আরো বিভিন্ন মামলার উদ্ভব হয় যা আদালতে এখনো চলমান। কিন্তু প্রিন্স টাকার প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট করে নেয়। আমার জবানবন্দি পাল্টিয়ে দেয়। তারপর থেকে আমার অসহনীয় জীবনের শুরু। মাহবুব সাইদীর হুকুমে কর্মচারী ম্যানেজার রুবেল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার পুরো পরিবারের উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখে এবং আমাদেরকে বগুড়া ছাড়া করার জন্য পুলিশ প্রশাসন দিয়েও ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। মাহবুব সাইদীর আদেশক্রমে রুবেল আমার ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়ায় তার কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আমরা জীবিকা চালানোর জন্য টিএমএসএস হসপিটালের পিছনে ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়েছি। সেখানেও রুবেল প্রিন্সের নির্দেশনায় সার্বক্ষণিক সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করে। আমি শুধু অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নয়, শারীরিক ও মানসিকভাবেও বিপর্যস্থ হচ্ছি৷

রিমু প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমরব চারজনের পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। আমাদের এই অসহায় মুহূর্তে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। নইলে মাহবুব সাঈদীর  অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।

 

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com