জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে একই মাদ্রাসার পিয়ন কর্তৃক জুতাপেটা করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) লংকারচর দাখিল মাদ্রাসায় উক্ত ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করে পিয়ন ময়দান আলীর স্থায়ী অপসারণ চেয়েছেন ওই মাদ্রাসার ভুক্তভোগী সহ সুপার মো. ফরিদুল ইসলাম ও এবতেদায়ী প্রধান মো. আব্দুল খালেকসহ সকল শিক্ষক। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন লংকার চর দাখিল মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী কিছুদিন পূর্বে মাদ্রাসার এক প্রতিবেশীর বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সে দাওয়াতের উপহার দিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা মিলে চাঁদা তুলে মাদ্রাসার পিয়ন ময়দান আলীর কাছে জমা রাখে। মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখা প্রধান আব্দুল খালেক পিয়নের নিকট জমা রাখা সেই টাকা চাইতে গেলে পিয়ন ময়দান আলী দিতে অস্বীকৃতি জানায়। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
এ সময় মাদ্রাসার সহ সুপার ফরিদুল ইসলাম পিয়নকে শান্ত হতে বলে। তখন পিয়ন ময়দান আলী নিজের পায়ের জুতা খুলে সহ সুপার ফরিদুল ইসলামকে পিটাইতে শুরু করে। এ সময় ইবতেদায়ী প্রধান আব্দুল খালেক বাধা দিতে গেলে পিয়ন তাকেও জুতা দিয়ে প্রহার করে। পরে ক্ষিপ্ত ময়দান আলীকে অন্যান্য শিক্ষকরা ধরে থামায়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা কৌশলে ময়দান আলীকে নিয়ে চলে যায়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এর পূর্বেও সেই পিয়ন মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে বহুবার অসদাচরণ এবং দুর্ব্যবহার করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল কাদের বলেন, পিয়ন ময়দান আলী যে কাজ করেছে এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। প্রশাসনের কাছে আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আরিফা আক্তার বলেন, সেই মাদ্রাসার সুপারের কাছে আমি বিষয়টি শুনেছি। আগামীকাল অফিসে গিয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন যদি মাদ্রাসার ভেতর জুতাপেটা করে থাকে তাহলে অবশ্যই আইন বহির্ভূত কাজ করেছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর