পরাজয় শক্তি (আওয়ামী লীগ) আর ফিরে আসতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, তারা যদি ফিরে আসত তাহলে হিটলার ফিরে আসতো, চেঙ্গিস খানও ফিরে আসত। আইয়ুব খান, টিক্কা খান এরা ফিরে আসত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করে যারা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা ফিরে আসত। তাছাড়া শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এরা হলো পলাতক শক্তি। তাই এরা আর ফিরে আসতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র রুখে দাও শীর্ষক আলোচনাসভায় একথা বলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, এই পলাতক প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র টিকবে না। কারণ, এবার সম্মিলিতভাবে সমস্ত জাতি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যে জাতি একবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেই জাতি আর মাথা নিচু করবে না।
গণফোরামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ যুগে যুগে এদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের মানুষ রুখে দিয়েছে। আজকে দেশ গড়ার সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক দাবি হয়তো এই সরকার পূরণ করবে, বাকি দাবিগুলো আগামী দিনে রাজনৈতিক সরকার পূরণ করবে। এর মধ্যে অর্পিত সম্পত্তির প্রত্যাবর্তন আইনের প্রতিকার পেতে হিন্দুসহ বিচার প্রার্থীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আইনটি যে বিবেচনায় করা হয়েছে, সে বিবেচনা এখন মাঠে মারা যাচ্ছে। সুতরাং আমরা এখন সরকারের কাছে দাবি করব ১৯৬২ সালের যে আইন এখনও পর্যন্ত এটার দ্বারা বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কোন কোন ক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভেতর মামলা-মোকাদ্দমার হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। আরেকটা হচ্ছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন যথা সময়ে করা যেতে পারে। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। মাঠে এসে আওয়াজ তুলতে হবে। আর বৈষম্য বিলোপ আইন যেন কার্যকরী করা যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রত্যেকটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার প্রশাসনের ইন্ধন আছে। কোথাও কোনও একটা ঘটনা হলেই বলতো, জামায়াত-বিএনপি করেছে। কিন্তু সকল ঘটনার মধ্যে আওয়ামী লীগ ছিল। বর্তমান সরকার সকল সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার করতে বদ্ধপরিকর। কাজেই প্রত্যেকটি ঘটনায় সবাইকে মামলা করার আহ্বান জানান তিনি।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অমলেন্দু দাস অপু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস-চেয়ারম্যান রমেশ দত্ত, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা তপন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর