রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে সম্প্রতি বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির একাংশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: রফিকুল ইসলাম ও তার কর্মী সমর্থকদের নাম জড়িয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে বাহের মোড়ে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: চাঁদ আলী খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: রফিকুল ইসলাম, পাংশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো: আকিদুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাবু সরদার, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সবুজ সরদার, যুগ্ম-আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম ফরিদ, শ্রমিক দল নেতা মো: কামাল উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্শ্ববর্তী কালুখালী উপজেলার টিসিবির কার্ড নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাট্টা ইউনিয়নের মুরাদ বিশ্বাস এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে বাহের মোড়ে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে। অফিস ভাঙচুরের দায় থেকে নিজে মুক্তি পেতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: রফিকুল ইসলাম ও তার কর্মী সমর্থকদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। এছাড়াও যারা শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভেঙেছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ দলে দলে যোগ দেন। এর আগে পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম মুরাদ বিশ্বাস অভিযোগ করেন বিএনপির অফিস রফিকুল ইসলামের লোকজন ভাঙচুর করেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর