ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পালাবদলে এখন বিপাকে আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
তাঁদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই যাত্রার শুরু।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে না থাকলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতও নানা কৌশলে প্রকাশ্যে বা গোপনে তাঁদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
সাম্প্রতি আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি এই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক তথ্য পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি পোস্টের সাথে বেশ কিছু বিমানের টিকেটের ছবিও জুড়ে দেন।
তিনি পোস্টের মাধ্যমে জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তাদের বেশিরভাগই কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে সরাসরি আসামের গোয়াহাটি এবং আগরতলা বিমান বন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গিয়ে পৌঁছায়। অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তাদের বেশ বড় একটা অংশ এখনো কোলকাতায় অবস্থান করছে।
গুরত্বপূর্ণ নেতাদের সীমান্ত পার করতে টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
গোয়াহাটি, আগরতলা এবং শিলং বিমান বন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গেছেন এমন ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিমান টিকিট কপিও তিনি পোস্টের সাথে সংযুক্ত করে দেন। যাদের টিকিট পাওয়া গেছে তারা হলেন, ১. ছোট মনির, আকরামুজ্জামান মোল্লা শুভ, বিপ্লব বড়ুয়া, মোঃ আবদুল বাতেন, হাবিবুর রহমান, মোঃ আবু জহির, ময়েজ উদ্দিন শরীফ।
সর্বশেষ খবর