সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘণ্টায় দাবি আদায় না হলে অসহযোগ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে 'মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ এবং সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে পালিত' বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের বোঝা বহন করতে গিয়ে পড়াশোনা এবং র্যাংকিং এ পিছিয়ে যাচ্ছে। সাত কলেজের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর বোঝা বহনের কোনো সক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। সাধ্যের বাইরের এই বোঝা কাঁধে নেওয়ার ফলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য জায়গা পায় না। কিন্তু সাত কলেজের জন্য ঠিকই আলাদা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আব্বাসউদ্দীন বলেন, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিস,লাইব্রেরি এবং ফ্যাকাল্টিতে তালা ঝুলাব।
নুরুল করিম সগীর, কবি জসীমউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলামের সাথে ২০১৯ সালে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে হলে থাকতে পারিনি। আজ সেই উপদেষ্টারা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পক্ষে কিছুই করছে না। আমরা শীঘ্রই দাবি আদায়ের প্রত্যাশা করি।
ঢাবির বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বলেন, হলে উঠে ২ বছর গণরুমে থেকেছি। এরপর বৈধ সিট পেয়েছি। মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখন গণরুমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য নতুন হল বানাতে পারছে না। তাদের বাজেট নেই। কিন্তু ৭ কলেজের জন্য কীভাবে নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করবে?
তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে ৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই। ঢবিতে একটি নতুন ইট গাঁথা হলে সেটা হবে মেয়েদের হলের জন্য।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর