বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘প্রথ ম আ লো’ ও ‘ডে ইলি স্টার’ বয়কটের ডাক দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে খেলার মাঠ সংলগ্ন প্রধান সড়কে প্র থম আলো ও ডে ইলি স্টার পত্রিকা দুটির কপি পুড়িয়ে বয়কটের ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্রথ ম আলো’ এবং ‘ডে ইলি স্টার’ পত্রিকা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। পত্রিকা দুটি প্রতিনিয়তই পতিত ফ্যাসিবাদ এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশনে উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। তারা ভারতের দালাল হয়ে কাজ করছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে জাতিকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে কাজ করেছে। কোনো হত্যাকাণ্ড কোথায় চালাতে হবে, কাদের গুম করতে হবে, কাদের দমিয়ে রাখতে হবে ও আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা কাজ করছে।
বয়কটের ডাক দিয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, এই দুটি পত্রিকা হচ্ছে ভারত সরকারের দালাল পত্রিকা। স্বৈরাচারী হাসিনা বিদায় নিলেও তার পক্ষ নিয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছে পত্রিকায় দুটি। হেফাজতের নেতাদের খুনের ঘটনার পরিকল্পনা এই পত্রিকা দুটির অফিস থেকেই হয়। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যেন দ্রুত সময়ের ভিতর এই পত্রিকা দুটি বন্ধ করা হয় এবং দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ভারতীয় অগ্রাসনের বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকবে এ আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্র থ ম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তাঁর ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বয়কটের ডাক দিতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বয়কটের ডাক দেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর