গেল অক্টোবরের শেষ দিকেই বেড়েছে লোডশেডিং এর প্রভাব।জনজীবনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। শীতের আগাত বার্তা কুয়াশা পড়লেও গরমের প্রাদুর্ভাব এখনও কমে নি।ফলে বিদ্যুৎ এর এই ঘন ঘন লোডশেডিং যেন অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে।
বিশেষত ফেনী সদরের লেমুয়া, ছনুয়া, ফাজিলপুর,ফরহাদনগর সহ গ্রামীণ অঞ্চল সমূহেও এখন প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি চলছে। বিদ্যুৎ আসা এবং যাওয়ার মধ্যেই দিনে ২-৩ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পেতে কষ্ট হচ্ছে গ্রাহকদের।কসকা সাব জোনাল অফিসের অধীনে লেমুয়ার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ এর আসা যাওয়ায় মানুষ চরম ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করছে।অফিস খোলার দিনেই বিদ্যুৎ থাকে না। এ যেন চরম এক অশান্তি সৃষ্টির কারণ।রাতে ঘুমাতে গেলেও মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না।
গেল সপ্তাহে রবিবার-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিনে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে কমপক্ষে ১০-১৫ বার।সকালে ৯ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও ৯ টার পর হতেই মূলত বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রতি ৩০ মিনিট সরবরাহের পর ১ ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালন বন্ধ থাকে। এভাবে দুপুরে কিছু সময় থাকলেও আবার ৩ টা হতে বিদ্যুৎ থাকে না।আবার সন্ধ্যায়ও বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে ৭ টায়, এরপর রাতে ১০ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও আবার পুরো রাত চলে লোডশেডিং।
এ বিষয়ে লেমুয়ার নেয়ামতপুরের শরিফুল ইসলাম জানান, সারাবছরই বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যায় থাকতে হয়।কোন মাসে পুরো সেবা দিলেও ২য় মাসে আবার বিদ্যুৎ এর চরম লোডশেডিং চলে। বাইরে হতে কাজ করে ঘরে আসার পর বিদ্যুৎ না দেখলে খুব অসহনীয় লাগে।"
এ বিষয়ে ফেনী পল্লি বিদ্যুৎ এর জেনারেল ম্যানেজার রুহুল আমীন হাওলাদার মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান" বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ পরিস্থিতি সবদিকে। গ্রাহকরা সবসময় ই বিদ্যুৎ এর অভিযোগ জানান।
লোডশেডিং শেষ হবে কবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ লোডশেডিং কবে নাগাদ শেষ হবে,তা এখনও বলতে পারছি।
কসকা পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, বারইয়ারহাট প্রধান লাইনের ৩৩ কেভি ভোল্টেজের নিয়মিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন পাচ্ছে না, ফলে লোডশেডিং পোহাতে হচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র মতে,ভারতের আদানি তাদের বকেয়া না পাওয়ায় কয়লা ও বিদ্যুৎ দিচ্ছে না।৭ই নভেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে।এর মধ্যে বকেয়া না পেলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা জানায় আদানি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর