ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ছয়ঘড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা. সেলিনা বেগমকে ৭ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত বরখাস্ত করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্কুলের আশেপাশের ৯ গ্রামের মানুষ এ দাবী জানান। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাজালা পারভিন রুহির নিকট দেওয়া হয়।
৯ গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার স্বার্থে সেলিনা বেগমকে বরখাস্ত করে স্কুলটি রক্ষা করার দাবী জানান বক্তারা। আব্দুর রহিম মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নান্নু মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোরশেদ আলম, সহিদুল ইসলাম, মাসুম মিয়া, তাজুল ইসলাম, মো. তাহের মিয়া খন্দকার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল বাশার, জোসনা আক্তার, অভিভাবক আনোয়ার হোসেন, ফজু মিয়া, আবুল হোসেন, ইয়ার হোসেন, করিম মিয়া, তাহের মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মামুন মিয়া।
বক্তারা বলেন, ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মরহুম মোবারক হোসেনের দান করা ১ কোটি টাকার ভূমিতে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মোবারক হোসেন স্কুল কমিটির তিন মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। শিক্ষক সেলিনা বেগম মোবারক হোসেনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই মোবারক হোসেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। সেলিনা বেগম একজন মামলাবাজ। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দিয়েছেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের সাথে বিরূপ আচরণ করতেন। অভিভাবকদের সাথেও ভালো ব্যবহার করতেন না। স্কুলটিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন সেলিনা বেগম। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী বেগমকে চায় না।
বক্তারা আরও বলেন, বিতর্কিত শিক্ষক সেলিনা বেগম আবারও স্কুলে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। তিনি স্কুলে গেলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়দায়িত্ব এলাকাবাসী নিবে না। প্রশাসনকেই এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ জুলাই মোছা. সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে এবং সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর