কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এক দাখিল মাদরাসার সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকোজ) করা হয়েছে। উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার সাইদুর রহমানকে এ নোটিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও নোটিশের জবাব দেননি অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা সুপার।
জানা গেছে, গত১৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার সাইদুর রহমানকে কারণ দরশানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, সুপার সাইদুর রহমান স্বজন প্রেীতির মাধ্যমে বাবা, মা, আপন ভাইকে মাদরাসার সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করে নিয়োগ বাণিজ্যসহ অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। এছাড়াও একই সময়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন তিনি।
অন্যদিকে ওই মাদরাসায় ভাগিনা ও ভাতিজাকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চাকুরি দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিস থেকে ইস্যু করা নোটিশে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হলেও সোমবার (৪ নভেম্বর) পর্যন্ত উক্ত নোটিশের কোন জবাব দেননি সুপার সাইদুর রহমান।
এদিকে এলাকাবাসী মাদ্রাসা সুপার সাইদুর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদক মহাপরিচালক বরাবরে একটি দরখাস্ত দিলে দুদক সেটা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বলেন, এখনো ওই সুপার নোটিশের জবাব দেননি। তবে একটি ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর