• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৭ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / বিনোদন / বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
bd24live style=

বিদেশ থেকে তরুণী এনে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করতেন তাপস

ফাইল ফটো

কৌশিক হোসেন তাপস, নামের পাশে একাধিক উপাধি যার। কখনো গায়ক, কখনো সুরকার আবার কখনো সংগীত পরিচালক তিনি। পাশাপাশি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী। দাবি করা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র সংগীতনির্ভর চ্যানেল সেটি। 

যেই চ্যানেলে হরহামেশাই দেখা মিলত তারকাদের। রাতভর চলত আড্ডা, গান ও নানা আয়োজন। আড্ডার মধ্যমণি হতেন তাপস ও তার স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। মূলত স্ত্রীর হাত ধরেই রাতারাতি একের পর এক সিড়ি টপকে উত্থান হয় এই গায়কের। সামান্য একজন তবলা বাদক থেকে মিডিয়া মাফিয়া বনে যান তাপস। 

মিডিয়াতে তার চরিত্রটাই ছিল বেশ ‘রহস্যময়’। একসময়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মচারী থেকে কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজেই একটি চ্যানেলের মালিক বনে যান। এসবের পেছনে তার চতুরতা যেমন ছিল, একইভাবে ‘জাদুর কাঠি’র ব্যবহারও ছিল। 

সেই জাদুর কাঠি ছিল তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। যিনি রূপচর্চা ও ফ্যাশন এক্সপার্ট হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিউটিশিয়ান হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। 

স্ত্রীকে ব্যবহার করেই আওয়ামী সংস্কৃতি অঙ্গনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস। একসময় দলটির রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত হন তিনি। 

অভিযোগ আছে, গান বাংলার নাম করে ইউক্রেন ও বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে নারী এনে তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতেন তাপস। এভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি, আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। 

তাপসের বিয়ে নিয়েও শোনা যায় নানা গল্প। বয়সে বড় ফারজানা মুন্নিকে সন্তানসহ বিয়ে করেন তিনি। মুন্নিকে বিয়ের আগে তার বড় মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন তাপস। সেই সুবাদে নিয়মিত দেখা হতো তাদের। একপর্যায়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন। 

বিয়ের পর নিজেদেরকে মিডিয়ার ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস-মুন্নি। যেকোনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক আয়োজন, সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন এই দম্পতি। 

প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন তাপস। ২০২২ সালের মার্চে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তিনি। সেসময় তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

কিন্তু নিজের মেয়ের বিয়েতে এই বলিউড তারকাকে নাচাবেন বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তাপস। ১৩ ঘণ্টার সফর শেষে কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই দেশ ছাড়েন অভিনেত্রী। 

এতকিছুর মাঝেও কৌশিক হাসান তাপস ও ফারজানা মুন্নির মধুর সংসারের ফাটল প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের শেষের দিকে। যখন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ফারজানা মুন্নির একটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়। 

ওই কলরেকর্ডে মুন্নিকে বলতে শোনা যায়, তাপস অভিনেত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাদের দু’জনকে হাতেনাতেও ধরেছেন তিনি। মুন্নি আরও দাবি করেন, বুবলী তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। 

তবে প্রতিবারের মতো এই ঘটনাও দারুণভাবে সামলে নেন তাপস। কিছুদিন পরই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে দাবি করেন, তাদের মাঝে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর মতো কোনো কাজ তিনি করেননি। 

তাপসের অপকর্মের ফিরিস্তির এখানেই শেষ নেই। অভিযোগ আছে, গান বাংলা চ্যানেলটি আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর হলেও জোর করে ভাগিয়ে নেন তাপস। ২০১১ সালের ২৪শে অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গান বাংলা টেলিভিশনের লাইসেন্স পান রবিশঙ্কর। ২০১২ সালের পহেলা জুলাই কৌশিক হোসেন তাপস আর ফারজানা মুন্নী ৮০ লাখ টাকায় শেয়ার হোল্ডার হিসেবে গান বাংলায় যুক্ত হয়েছিলেন। একটা সময় রবিশঙ্করকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গান বাংলার সবকিছুই নিজের করে নেন তাপস-মুন্নী।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কনসার্ট আয়োজনের কাজও বাগিয়ে নিতেন তাপস। সেসবের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আয়োজিত লাল-সবুজের মহোৎসব, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান অন্যতম। সেখান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। 

আর এসব কাজে অধিকাংশ সময়ই তাপস ব্যবহার করতেন তার জাদুর কাঠি ‘ফারজানা মুন্নি’ ও চ্যানেলের নাম করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন তরুণীদের। 

মুন্নির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সখ্যতা, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ‘আস্থাভাজন’ পরিচয় কাজে লাগানো ও বিদেশি তরুণীদের দিয়ে ‘মনোরঞ্জন’-এর ব্যবস্থা করা ছিল এই ধূর্ত মিডিয়া মাফিয়ার অন্যতম হাতিয়ার। 

রার/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com