‘আমাকে তারেক রহমান এর দোসর বলা যায় তবে কোনোক্রমেই শেখ হাসিনার দোসর বলা যায় না" বলে মন্তব্য করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপ রেজিস্ট্রার মোঃ এমদাদুল হক। গত ২ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী তাকে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা হিসেব আখ্যায়িত করলে আজ পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছাত্রাবস্থায় আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কামাল-শান্ত এবং মোস্তাক-ইমরান এর নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে জানুয়ারি মাসে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার তৎকালীন সময়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। তাতে তৎকালীন উপাচার্যসহ আমাদের সকলকে বিএনপি সরকারের সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন এর আত্মীয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এমনকি আমার বাড়ী নেত্রকোণা হওয়া সত্ত্বেও উক্ত সংবাদে আমাকে চাঁদপুরের লোক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে যখন আমার সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির সময় হয় তখনও আমাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, আমি যখন ২০১৮ সালে উপ-রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করি, তখন নিয়োগ বোর্ড ছিল ২০১৮ সালের ২৮ জুন । ২০১৮ সালের ২৮ জুন তারিখে দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে আমাকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের ক্যাডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার প্রেক্ষিতে কোন প্রকার নোটিশ ব্যতীত আমার নিয়োগ বাছাই বোর্ড বাতিল হয়ে যায়। আামি চাকরিজীবনে প্রাপ্যতার পূর্বে কোন সুবিধা ভোগ করি নাই এবং প্রশাসন কর্তৃকও কোন সুবিধা প্রদান করেনাই।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হতে এখন পর্যন্ত আমার কোন আত্মীয় বা আমার সহযোগিতায় কারো চাকুরি হয়েছে এমন নজীর নেই। আমি কখনোই কোন শুণ্যপদের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলাম না। গত ১৫ বছরের অধিক সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম চলমান ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র কর্মকর্তা সমিতি ব্যতীত অন্য কোন সংগঠনের সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। জুলাই-আগষ্ট-২০২৪ বিপ্লবে আমি যশোরে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে আমার এলাকায় এবং ঢাকা-তে আত্মীয়- স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর