• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১ মিনিট পূর্বে
শেখ রাজেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:১০ সকাল
bd24live style=

রামকানাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের নজিরবিহীন অনিয়ম, নিয়োগ ও মামলা বাণিজ্য

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শতবর্ষী রামকানাই হাই অ্যাকাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষকের এবং ২০১৬ সাল থেকে অদ্যাবধি চলতি দায়িত্ব হিসেবে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে বিদ্যালয়টির সংযুক্ত প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক হিসেবেও বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সালে রামকানাই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুর নুরকে জামায়াতপন্থী আখ্যা দিয়ে,ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়াড় মূল কারিগর এই রফিকুল ইসলাম।এ ব্যাপারে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আল মামুন সরকার।

২০১২ সালে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন রফিকুল ইসলাম। কিন্তু আব্দুর নুরকে সরিয়ে দেয়াড় বছর না পেরোতেই সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ছাড়াই প্রথমে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন রফিকুল ইসলাম। 

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ তুলে আসছে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় যে সকল শিক্ষক কর্মচারী তার বিরুদ্ধে গেছে তাদেরকেই মামলা, হামলাসহ তার রোষানলে পড়তে হয়েছে।তারা দ্বারা অত্যাচারিতদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্বাসউদ্দীন, লাইব্রেরিয়ান মোস্তাক আহমেদ এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুন নুরসহ আরও অনেকেই। সম্প্রতি সুদীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রফিকুল ইসলামের সিনেম্যাটিক অনিয়মের আদ্যোপান্ত। 

অনুসন্ধানে জানা যায়,রফিকুল ইসলামের সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিলো সম্পূর্ণ পাতানো ও অবৈধ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ব্যাপারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -এর প্রবিধানমালার অনুচ্ছেদ নং ১১(১৬) এর (ক) তে বলা আছে," কোন অনুচ্ছেদ বা উপানুচ্ছেদে যাই থাকুক না কেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ- প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে সমগ্র শিক্ষা জীবনে সর্বোচ্চ একটি তৃতীয় শ্রেণী বা সমমান গ্রহণযোগ্য হবে।" 

অথচ প্রতিবেদকের হাতে আসা রামকানাই স্কুলের ২০১২ সালের শরীর চর্চা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর ফর্দ অনুযায়ী রফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালে রেফার্ড দিয়ে পাশ করেছিলেন এবং ১৯৯২ সালে থার্ড ডিভিশনে বিএ পাস করেছিলেন।রেফার্ড দিয়ে এইচএসসি পাশকে থার্ড ডিভিশনের চেয়েও নিচে বিবেচনা করা হয়।সেক্ষেত্রে দুটি থার্ড ডিভিশন নিয়েও অবৈধভাবে রফিকুল ইসলাম সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ পেয়ে যান।

এ ব্যাপারে তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য্য এবং জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম,ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ খান।নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক তফছির আহমেদ এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন,তারপরও সাহিদুজ্জামান উক্ত নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন যেটা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদও উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হলেন। যদিও ভাদুঘর স্কুলের শরীর চর্চা  শিক্ষক মোহাম্মদ আলী এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

এছাড়াও প্রতিবেদকের হাতে আসা রামকানাই স্কুলের উক্ত নিয়োগকালীন সময়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য ব্যাংক ড্রাফট করেছিলেন ৩১ জন প্রার্থী।কিন্তু ইন্টারভিউয়ের জন্য মাত্র ছয়জনকে ডাকা হয়।আশ্চর্যজনকভাবে তার নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যেই লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়ে যান চাপুইর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরীফুল ইসলাম।পরে ভাইবাতে শরীফুল ইসলামকে অনুপস্থিত দেখিয়ে রফিককে প্রথম ঘোষণা করা হয়।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিজ স্কুলের শিক্ষক থাকা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ খান বলেন, " আমার স্কুলের শিক্ষক মোঃ আলী এখানে পরীক্ষা দিবেন আমি জানতাম না কারণ উনি স্কুল থেকে অনুমতি নিয়ে আবেদন করেনি।পঁচিশ জনকে কেন ডাকে নি সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।অনেক আগের ঘটনা তো তাই অনেক কিছু মনে নেই।"

প্রতিবেদকের কাছে রফিকুল ইসলাম বর্তমানে নিজেকে এমএ পাস দাবি করেন।এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, কোন শিক্ষক পূর্ণ বেতন - ভাতা গ্রহণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে উচ্চ শিক্ষা কিংবা কোন পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন না।কিন্তু বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক পদে চাকুরিরত অবস্থায় তিনি কখন, কীভাবে এমএ পাশ করছেন তা কেউই জানে না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে, তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির প্রত্যক্ষ মদদে রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার দম্ভে ধরাকে সরা জ্ঞান শুরু করেন। বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কমিটি গঠনে নজিরবিহীন স্বজনপ্রীতি, লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অনিয়ম-দুর্নীতির মহা নায়ক হয়ে উঠেন রফিকুল ইসলাম।

রফিকুল ইসলামের অর্থ তছরুপের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের দুটি ব্যাংক হিসাবের দিকে নজর দিলেই।বিদ্যালয়ের নামে এবং বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন রামকানাই মার্কেটের নামে ব্যাংকে দুটি পৃথক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুর নুরের বরখাস্ত হওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে ছিলো প্রায় ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং মার্কেটের নামে অ্যাকাউন্টে ছিলো ৬ লক্ষ টাকা। রফিকুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমানে স্কুলের অ্যাকাউন্টে আছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা এবং মার্কেট অ্যাকাউন্টে আছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত ছয় বছরে বিদ্যালয়ের ফান্ড বৃদ্ধির পরিবর্তে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানও নিম্নমুখী। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকলেও এখন সেটাও নেই।শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্কুল অথচ শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র সর্বসাকুল্যে ৪৫০ জন।শিক্ষার মান নিম্নমুখী হওয়ায় বাড়ছে না শিক্ষার্থীর সংখ্যা। 

বর্তমানে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান সম্পর্কে অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , "শতবর্ষ পেরোনো এই বিদ্যালয়ের সর্বনাশের শুরুটা হয়েছিল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আমানুল হক সেন্টুর হাত ধরে। আর গত অর্ধ যুগ যাবত বিদ্যালয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।" রফিকুল ইসলাম কর্তৃক সর্বাধিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুন নুর। 

নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে আবদুর  নুর বলেন," রফিক কমিটির সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।আমি বারবার মামলার রায় আমার পক্ষে পেয়েও তার গুণ্ডামির কারণে স্কুলে ঢুকতে পারিনি।আমার প্রতি অবিচারের বিচার জানাতে এমন কোন দরজা নেই যেখানে আমি যাই নি।কিন্তু এই শহরের সবাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আল মামুন সরকারের ভয়ে।আমার হার্টের অপারেশনের সময় আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রাপ্য টাকার জন্য সকল নিয়ম মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম।কিন্তু রফিক বারবার সেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে চাঁদা তুলে সেই টাকায় আমার অপারেশন করিয়েছি।শুধু আমার সাথে না।মোস্তাক,আব্বাসউদ্দীনসহ আরও অনেকের সঙ্গে সে অবিচার করেছে,এবং তার নামে মামলাও হয়েছে।  আল্লাহ একদিন আমার প্রতি তার সকল জুলুমের সাজা তাকে দিবেন।"

অনুসন্ধানে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা বেরিয়ে আসে।জানা যায়,২০১৭ সালের ২৪শে আগস্ট, ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি আশরাফুল ইমাম রানা ও রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান কাম সহকারী শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সাক্ষর রেখে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।এ বিষয়ে ঘটনার তিন দিন পর মোস্তাক আহমেদ রফিকসহ বাকিদেরকে অভিযুক্ত করে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, ডায়েরি নং-১৬৮৭।

পরবর্তীতে তাদের বিচার চেয়ে এবং চাকরি ফিরে পেতে মোস্তাক আহমেদ একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন, মামলা নং-৩০৮/১৭ এবং পরবর্তীতে কোর্ট বদলি হয়ে মামলা নং-৪৮/১৯।মোস্তাক আহমেদ ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি তার পক্ষে মামলার রায় পেলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে না দিয়ে আড়াই বছর যাবত বিভিন্ন তালবাহানা করেন।তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রফিকুল ইসলামের উপর চাপ বাড়তে থাকলে বাধ্য হয়ে মোস্তাক আহমেদকে যোগদানের অনুমতি দেন এবং মোস্তাক আহমেদ গত  ২০শে অক্টোবর পুনরায় রামকানাই স্কুলে যোগদান করেন।

রফিকুল ইসলামের সর্বোচ্চ রোষানলের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর নুর ।আব্দুর নুরের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে গত ছয় বছরে নিম্ন কোর্ট,জজ কোর্ট,হাই কোর্ট,শিক্ষাবোর্ড ঘুরে বিদ্যালয় ফান্ড থেকে রফিকুল ইসলাম মামলা বাবদ খরচ দেখিয়েছেন পনেরো লক্ষ টাকার উপর। অথচ মামলার রায়ের কপি মোতাবেক এবং রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আব্দুর নুরের কাছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পাওনা। রফিকুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন ছিলো "বিবাদির কাছে যে টাকা পাওনা সে টাকার আট গুনত ইতিমধ্যে মামলা চালাতেই খরচ হয়ে গেছে, তাহলে রায় পেলেও বিদ্যালয়ের লাভ কী হবে?" 

তিনি এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।তবে তেপান্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়,রফিকুল ইসলাম ভালোভাবেই জানেন যে মামলা হেরে গেলে আব্দুর নুর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরে পাবেন এবং রফিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ চলে যাবে, তার সকল অনিয়ম জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়ে যাবে।মূলত এই ভয়েই বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান করে রফিকুল ইসলাম মামলাটি জিইয়ে রাখছেন।

রফিকুলের মামলাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রতি বদলি হওয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য্য বলেন," ব্যাপারটি আমি ভালোভাবেই জানি কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি যদি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়,তারা যদি পারস্পরিক যোগসাজশে কিছু করে তাহলে আমি এখানে আসলে নিরুপায়। " 

রফিকুল ইসলামের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ এবং নিয়োগ বোর্ডে আপনিও আছেন, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী জানতে চাইলে
জীবন ভট্টাচার্য্য বলেন," রফিক শিক্ষক সমিতির সক্রিয় নেতা,যার ফলে অনেক শিক্ষক নেতাই তার নিয়োগের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন।আর তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কেউ যদি নির্বাচিত হয়ে ভাইবা দিতে না আসে তাহলে আমি কী করবো, ভাই।" 

অনুসন্ধানে রফিকের বিরুদ্ধে  বিধিবহির্ভূতভাবে তিনটি পদের বেতন ভাতা উত্তোলন,কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বভাতা উত্তোলন, নির্বাচন বিহীন ম্যানেজিং কমিটি তৈরি, তার ছেলে মাহিন শাহরিয়ারের অত্র বিদ্যালয়ে বিনে পয়সায় পড়াশোনা, ভারপ্রাপ্ত হয়েও নিজেকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দেয়া, ২০২৩ সালে রামকানাই স্কুলের নামে জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করা সূর্যমুখী স্কুলের ৫৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি,সেশন চার্জ,রেজিস্ট্রেশন ফি আত্মসাৎ,বিভিন্ন সালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন খাতে পুরস্কারের নামে ভুয়া ভাউচার তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ বেরিয়ে আসে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com