গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় র্যাব পরিচয়ে বিকাশ পরিবেশকের ২৬ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য জানান। সোমবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিকাশের লুণ্ঠিত কোনো টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের নাম হলো: মো. সাইফুল ইসলাম (৩২), সাজু মিয়া (৩৩), মো. রিয়াদ (১৯), মো. রবিউল (২৬), মো. মানিক (৪০), মো. রিপন সর্দার (২৯), মো. সাজু (৪৪), মো. রিপন হাওলাদার (৪৫) এবং মো. সজিব (৩৫)। র্যাব জানিয়েছে, এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতিতে জড়িত।
র্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সাইফুলের নেতৃত্বে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি গত সোমবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় দুই ব্যক্তিকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মালামাল লুটে নিয়ে পালানোর সময় র্যাব তাদের ধাওয়া করে। এরপর দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার ৩৫৮ টাকা, র্যাবের ৩টি জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ, নকল পিস্তল, ২টি ওয়াকি-টকি, ওয়্যারলেস সেটসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা ২৭ অক্টোবর বিকালে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় র্যাব পরিচয়ে বিকাশ এজেন্টের টাকা বহনকারী গাড়িটি আটক করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা বিকাশের দুই কর্মচারীকে হাত-পা বেঁধে ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা লুটে নিয়ে মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় তাদের রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার সাইফুলের নেতৃত্বে ডাকাত দলটি কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিকাশের লুণ্ঠিত ওই টাকা উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর