চুয়াডাঙ্গায় টাস্কফোর্সের অভিযানে নিম্নমানের ভেজাল নকল শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে শহরতলীর মেসার্স জনি স্টোর প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই জরিমানা করেন। পূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও তদারকিতে অননুমোদিত ও নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য ও শিশুখাদ্য বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে। অভিযানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের জনি স্টোর দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: হামিদুর রহমান জনিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪১, ৫১, ৫৫ ধারায় চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় অননুমোদিত নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্যে ভর্তি ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই শিশুখাদ্যগুলো দোকান মালিক সমিতি, চেম্বার অফ কমার্স, সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন ভোক্তাদের উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় ।
আরো জানা যায়, জনি স্টোরের মালিক মো: হামিদুর রহমান জনিকে কয়েক বছর আগে একই অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর পরেও সংশোধন না হয়ে তার নকল ভেজাল শিশুখাদ্যের ব্যবসা আরও অধিকতরভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও সকল উপজেলাগুলোতে তিনি এই নকল ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ডিলার হিসেবে সাপ্লাই দেন।
অভিযানের শেষ পর্বে শহরের দোকান ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মূল্য-তালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় অভিযানটির সহযোগিতায় ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন জুলফিকার এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর