চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে ফার্নিচার কর্মী মো. ফারুক নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল নবী লেদু (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর খুলশী থানার গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার ( ৬ নভেম্বর) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবদুল নবী লেদু বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ বোস্তামি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
র্যাব জানায়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নগরীর মুরাদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় ফারুক। এছাড়া তাকে দুষ্কৃতিকারীরা পেটে ও পায়ে গুলি করে। পরে তাকে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম জানান, পাঁচলাইশ থানার মো.ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামি আবদুল নবী লেদু গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় অবস্থান করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লেদু মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
তিনি আরও জানান, লেদুর বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর