জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যাকে করা হয়েছে বাংলাদেশকে স্থগিত ও পরাধীন করার জন্য। বিগত ১৮ বছর সেই কাজটিই করা হয়েছে। তবে এ দেশের ছাত্র-জনতা সেটি রুখে দিয়েছে। ২৪ এর জুলাইয়ের বিজয়কে আমরা দ্বিতীয় নয় তৃতীয় স্বাধীনতা বলছি। কারণ, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ প্রথম এবং ১৯৭৫ এর ০৭ নভেম্বর ছিল দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আমরা দেখেছি জুলাইয়ের আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও ছাত্রদলের ৪২৬ জন রক্ত দিয়েছেন। সুতরাং এই বিজয় আমাদের, এই অর্জন আমাদের। তাই প্রশাসনকে আমাদের দাবি মানতে হবে, যদি না মানে তাহলে আমরা সেই ব্যবস্থা নিব।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত র্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে জাতীয়বাদী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃশ্যমান একটি শহীদ জিয়াউর রহমান কমপ্লেক্স তৈরি করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না নেয় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবস্থা নিব। যেকোনো ন্যায্য দাবি আদায়ে শিক্ষকরা অবশ্যই ছাত্রদলের সঙ্গে থাকবে। কীভাবে ন্যায্য দাবি আদায় করতে হয় সেটি ছাত্রদল জানে। আমাদেরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ইতিহাস জানতে হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে এই র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় জিয়া পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. নুরুন নাহারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. আলীনূর রহমান, ইউট্যাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রীস আলী, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ড. ওলিউর রহমান পিকুল, জিয়া পরিষদের কর্মকর্তা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ মঞ্জু, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর