কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ২০ জেলেকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে এসব জেলেদের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে টেকনাফে নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে এসব জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের আলী আহমদের ছেলে শাহ আলম, শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ, নুরুল আলমের ছেলে আবদুস শুক্কুর, মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোছন, মৃত নাজির হোছনের ছেলে আয়ুব খান, মৃত মো. ইউসুফের ছেলে নুর হোছন, মৃত বশির আহমদের ছেলে মো. বেলাল, মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম, মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মো. হাশিম, মো. আলমের ছেলে মো. হোছেন, ইলিয়াছের ছেলে মহি উদ্দিন, মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ, মৃত মো. ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ, মৃত মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন, আমির সাদুর ছেলে আবদু রহিম, মৃত বাচা মিয়ার ছেলে হাছান আলী, আবদু শুক্কুরের ছেলে ওসমান গণি, মহেষখালী উপজেলার নাছির উদ্দিনের ছেলে ইন্নামিন এবং উখিয়া উপজেলার হাছন শরীফের ছেলে আবদু শুক্কুর।
বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ট্রলারঘাট এলাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশি জেলে ১৫টি হস্তচালিত এবং ২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপসাগরে যায়। জেলেরা মাছ ধরতে ধরতে ভুলবশত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, এ সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে ২০ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা হলো।
তিনি আরও বলেন, ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ সাপেক্ষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর