
বিগত সময়ে নানা অপরাধের সাথে জড়িত থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল। রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়।
এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে তারা বিগত ১৫ বছরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করার অপরাধের দায়ে ছাত্রলীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম-আহবায়ক আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন ও তরিকুল ইসলাম সৌরভসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ছাত্রদল বিগত ১৭ বছর ধরে রাজপথে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই ক্যাম্পাসে আওয়ামী দোসরদের কোন ঠাঁই হবে না। আমরা মনে করি, এই অন্তর্বর্তী সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে হাসিনাকে ভারত থেকে নিয়ে আসা কোন কঠিন কিছু নয়। আমরা বিশ্বাস করি, হাসিনাকে হাজারবার ফাঁসি দিলেও তার অপরাধের সঠিক বিচার হবে না। তাই আমরা হাসিনাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতে বসে এই স্বৈরাচারী হাসিনা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ফের দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তা জুলাই গনঅভ্যুথানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ও আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ইবি উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দোষীদের যদি বিচার না করা হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলব। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্লানিং ডিরেক্টরসহ যে-সব দপ্তরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে রয়েছে তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। ছাত্রলীগকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই ধোলাই দেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর