পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক রেলমন্ত্রী এবং সাবেক দুই এমপির নামে গুমের মামলা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে গুম হওয়া যুবকের পিতা মনু এই মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৯ জনকে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জন কে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। গুম হওয়া যুবকের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার দর্জিপাড়া এলাকায়।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সাংসদ নাঈমুজ্জামান ম্ক্তুা সাবেক সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামীলীগের লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর উজ্জ্বল প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. মনুর ছেলে আলামিন পেশায় রিকশা চালক। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কতিপয় আসামীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনে হিছড়ে নিয়ে যায় তারা। তখন থেকেই আল আমিনের সন্ধান নেই।
মামলার বাদী মো. মনু বলেন, আল আমিনের সঙ্গে সেদিন যারা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলেই মামলা করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতে, আমি ধারণা করছি আমার ছেলেকে হত্যার পর তার লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত রঞ্জু আহমেদ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মানিক মিয়াকে নিযুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর