এমন এক দিন আসবে, যখন আকাশ ভেঙে পড়বে, পাহাড়গুলো বালির মতো উড়ে যাবে, পৃথিবী ভয়াবহভাবে প্রকম্পিত হবে। সেই দিনটি কিয়ামতের দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার এ দিনের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে।
يَاأَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ
হে লোক সকল, তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই কিয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। সেদিন তোমরা দেখতে পাবে প্রত্যেক স্তন্যদায়ী তার দুধের শিশুকে ভুলে গেছে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলা তার গর্ভের সন্তান প্রসব করে দিবে আর তুমি মানুষকে মাতাল অবস্থায় দেখতে পাবে। অথচ তারা মাতাল নয়। বস্তুত আল্লাহর আজাব খুবই কঠিন।’ (সুরা হজ্জ ১-২)
এরপর যতক্ষণ আল্লাহ চাইবেন, ততক্ষণ তারা ওই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে অবস্থান করতে থাকবে। তাফসির কারকদের মতে, সেদিন শিঙায় ফুঁ দেয়ার পর প্রথমে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হবে। তারপর সবাই মারা যাবে। এরপর তারা আবার সজাগ হবে এবং হাশরের ময়দানের দিকে ছুটতে থাকবে। প্রত্যেকেই উলঙ্গ থাকবে এবং কারও প্রতি কেউ ভ্রূক্ষেপ করবে না। প্রত্যেকেই জপতে থাকবে, ইয়া নফসি, ইয়া নফসি। অর্থাৎ হায় আমার কী হবে! হায় আমার কী হবে!
কিয়ামতের দিন আমাদের জন্য এক চূড়ান্ত বাস্তবতা, যা প্রত্যেক বিশ্বাসীকে তার কর্ম ও আচরণের জন্য দায়বদ্ধ করবে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সেই দিনের বর্ণনা আমাদের মনে ভীতি, বিনয় ও আত্মসমালোচনা জাগ্রত করে। সেই ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করে আমাদের উচিত নিজের জীবনকে সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ পথে পরিচালিত করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা।
কারণ কিয়ামতের দিন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সকলের জন্য ন্যায়বিচার করবেন, আর সেই দিন কারো পক্ষে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও সততার সঙ্গে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করাই আমাদের সঠিক পথ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর