কিশোরগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে আবারো ইজিবাইক চালককে হত্যার ঘটনা ঘটল। দুর্বৃত্তরা হাত-পা বেঁধে চালক আল আমিনকে (১৪) গলাকেটে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে হতভাগ্য কিশোর বয়সী এই ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আল আমিন তাড়াইল উপজেলার ভেরামতলা গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ইজিবাইক চালক আল আমিন রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচধা গ্রামের কাছে একটি ধানক্ষেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
সে তাড়াইলের আরিফুল ইসলাম মিন্টুর গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালাত। অভাবের তাড়নায় কিশোর বয়সেই ইজিবাইক চালিয়ে পরিবারকে সহায়তা করত সে। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পনা করে যাত্রীবেশে ইজিবাইক উঠে নির্জন স্থানে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত আল আমিনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত, তাদের আটক ও ইজিবাইকটি উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে একমাসের ব্যবধানে আরো একজন ইজিবাইক চালক হত্যাকাণ্ডে শিকার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চালকদের মধ্যে। তারা পুলিশকে এ বিষয়ে আরো তৎপর ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর জেলার করিমগঞ্জের জাফরাবাদ ইউনিয়নের বাদেশ্রীরামপুর গ্রামের কাছে হুমায়ুন নামে আরেকজন চালককে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। নিহত হুমায়ুন (২০) করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশি গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে। সে পড়াশোনার পাশাপাশি ইজবাইক চালাত। তাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, হুমায়ুন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ