
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) নামে মামলা করেছেন এক বিএনপি নেতা।
এ মামলায় আওয়ামী লীগের আরও ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
রোববার রাতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ এলাকায় গোলচত্বরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সোমবার ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান অন্যতম।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ভাঙ্গা উপজেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বর নামে পরিচিত মহাসড়ক থেকে যে সংযোগ সড়কটি উপজেলা পরিষদের দিকে চলে গেছে সেই সড়কের ফাঁকা জায়গায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিঠা বিক্রেতা বলেন, ‘শব্দ শুনে দেখলাম, একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন লোক এসে তিনটি ককটেল ফাটিয়ে দ্রুতগতিতে চলে গেল।’
ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ বলেন, রোববার রাতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের পাশের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে, কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর