বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গাইবান্ধার সাবেক পুলিশ সুপার ও ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মামলার বাদী ওয়াহেদুর রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলাম। ওই দিনের ঘটনায় অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত হলেও কোনো রাজনৈতিক দল প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেনি। এ জন্য আহতদের বিচারের দাবিতে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ওয়াহেদুর রহমান (দর্জি)। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী রেজওয়ানুল হক মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটিতে দশজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
নামীয় আসামীরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম, তৎকালীন সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সর্দার সাহীদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিল গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশক্রমে তৎকালীন পুলিশ প্রশাসনের সরাসরি নির্দেশে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিলে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে।
এতে ওয়াহেদুর রহমানের শরীরে মোট ৯টি বুলেট ঢুকে তিনি মাটিতে পড়ে যান।পরে সঙ্গে থাকা রাশেদুজ্জামান আশিকসহ ও নাম না জানা অসংখ্য ছাত্র জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে আন্দোলনকারী কয়েকজন তাৎক্ষণিক ওয়াহেদুর রহমানকে সদর হাসপাতালে নিয়ো যায়। চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করাকালীন কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয়ধারী প্রায় ৫০/৬০ জন লোহার ত্রিশ হাতে হাসপাতালে প্রবেশ করে চিকিৎসারত গুলিবিদ্ধ প্রায় শতাধিক ছাত্র জনতাকে হামলা করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর