জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর গ্রামে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসান নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা সংক্রান্ত মামলার রায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর আখিরাপুকুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে শামীম, আব্দুল খালেকের ছেলে একরামুল হক মন্ডল ও বিনধারা গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে মাখন চৌধুরী ওরফে আজমীর চৌধুরী।
জয়পুরহাট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) গকুল চন্দ্র মন্ডল মামলার বিবরণ দিয়ে বলেন , পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে হাসান বগুড়ায় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ২০১১ সালের ৮ নভেম্বর ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় প্রতিবেশী সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হাসানকে সন্দেহ করে এবং মোবাইল না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
এমন অবস্থায় ২০১১ সালের ১০ নভেম্বর সকালে নিজ ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় হাসানকে দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলেও এ ব্যাপারে কোনো মামলা গ্রহন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে আসামীরা বলাবলি করে হাসানকে মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
এ অবস্থায় হাসানের পরিবারের লোকজন এমন খবর জানতে পেরে এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় বোন মনিরা বেগম। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচবিবি থানার এস আই আব্দুল আউয়াল ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল, শামীমুল ইমাম শামীম ও খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড : আফজাল হোসেন ও এ্যাড : দেলোয়ার হোসেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর