শৌখিন জিনিসপত্র দিয়ে ঘর সাজিয়ে রাখেন অনেকে। ঘর সাজাতে অনেকে প্রাণী, পশু-পাখির ছবিও ব্যবহার করেন। এতে ঘর দেখতে সুন্দর লাগলেও তা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নাজায়েজ। কারণ, হাদিসে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন রাসূল সা.। এক হাদিসে জাবির রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصُّورَةِ فِي الْبَيْتِ وَنَهَى أَنْ يُصْنَعَ ذَلِكَ
রাসূল সা. ঘরে ছবি রাখতে এবং তা বানাতেও নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৪৯)
আরেক হাদিসে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরি করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি আমার ঘরে এসে দুই দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা মলিন হয়ে গেল। তখন আমি বললাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন এ বালিশটি সে জন্য আমি তৈরি করেছি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হে আয়িশা! তুমি কি জান না? যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না! আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে তাকে কেয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে! তাকে (আল্লাহ্) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাতে প্রাণ দান কর।’ (বুখারি)
হজরত সালিম রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরিল আলাইহিস সালাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাতের অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাক্ষাত না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘আমরা ওই ঘরে প্রবেশ করি না; যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে।’ (বুখারি)
হাদিসের এই বাণীগুলো ঘরের সৌন্দর্য হিসেবে প্রাণী ছবি বা প্রতিকৃতি রাখতে নিরুৎসাহিত করে। এবং এটি পরকালে শাস্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত। তাই ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা উচিত সবার। এমন শোবিজ ব্যবহার করা উচিত সেখানে প্রাণীর ছবি বা প্রতিকৃতি নেই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর