ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের উভয় পাশের দুই শতাধিক অবৈধ দোকান-পাট ও স্থাপনা গড়ে তুলে মোটা অংকের টাকা জামানত নিয়ে মাসোহারা আদায় করত প্রভাবশালী মহল। এতে মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের যানজট যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে পথচারীদের জন্য ফুটপাত ও সরকারি জায়াগা দখল মুক্ত করা হয়। জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে মাইকিং করেছিলো প্রশাসন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁঞা।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মহাসড়কের জায়গা দখল করে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করে প্রভাবশালী মহল। ওইসব স্থাপনায় দোকান ভেদে ৫-১০ লক্ষ টাকা জামানত নিয়ে এবং মাসিক ১০-৩০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে চলছিল প্রায় যুগের পর যুগ। এছাড়া প্রতিবার দখল উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মহাসড়কের জায়গায় কেউ যেন অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে যানজট কিংবা ভোগান্তি সৃষ্টি না করে সেদিকে সবসময় নজরদারি থাকবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর