বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাইয়ের আন্দোলন শুধুমাত্র ভোটের অধিকারের জন্য নয়, বরং সরকারের সংস্কারের দাবিও ছিল। নির্বাচনও একটি সংস্কারের প্রক্রিয়া। সংস্কারের মাধ্যমেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সংস্কার এবং নির্বাচন একই পথের রেল।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর দশমিনায় শশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ জিহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, দশমিনা উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারের ছোট মেয়েকে বিয়ে করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বিয়ের পর এই প্রথম তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যারা গত তিনটি নির্বাচনে ফ্যাসিজমকে লালন করেছে, তারা নির্বাচনে আসবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি মানুষ চাচ্ছে আগে তাদের গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সকল অপকর্মের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর ছাত্র নাগরিক সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে আসবে কি আসবে না। বিচারের আগে কোনোভাবেই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আমরা প্রতিরোধ করে তুলব।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়কালে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিএনপি। বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে দেখা গিয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে মিথ্যা মামলা-হামলা ও জেল-জুলুম দিয়ে হয়রানি করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার পালানোর পর বর্তমান দেশ গড়তে সময় লাগবে। আমরাও চাই নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শহীদ জিহাদের বাবা নূরু হোসেন মোল্লা, চাচা রুহুল আমিন মোল্লা, আল-আমিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল বশার, দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক লিয়ার হেসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক মহাল্লাদার প্রমুখ।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর