ধান, ভুট্টা সহ বিভিন্ন খাদ্য শস্যের পাশাপাশি বেশি লাভের আশায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষকরা। বর্তমানে জমিতে নতুন শাক-সবজি রোপণ ও পরিচর্যায় তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাটে ৬৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষে লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতে বারী সীম-১ ৩ হেক্টর, বারী সীম-২ ৫ হেক্টর, কার্তিকা ১২ হেক্টর, ইস্পা ১৩ হেক্টর, আলফাল্লাহ ৩৫ হেক্টর, স্থানীয় ঘিকলি ৭ হেক্টর, কার্তিশা ৫ হেক্টর মোট ৮০ হেক্টর। মুলা আর্লী-৪০ ১৫ হেক্টর, মিনু আলী ২২ হেক্টর, তাসাকিসান ১৬ হেক্টর, হই ব্রিড ১২ হেক্টর মোট ৬৫ হেক্টর।
বেগুন শিংনাথ ৫ হেক্টর, শেরপুরী ১১ হেক্টর, উত্তরা ৭ হেক্টর, চাকা ১৫ হেক্টর, ছক্কা ১৭ হেক্টর, গ্রীনবল ৫ হেক্টর মোট ৬০ হেক্টর। করলা নবাব ৬ হেক্টর, টিয়া ৫ হেক্টর, ঝুমকা ৪ হেক্টর, টুনটুনি ৫ হেক্টর মোট ২০ হেক্টর। ফুলকপি হোয়াইটহো ১৮ হেক্টর, আটাম কুইন ১৭ হেক্টর, আর্লী স্নোবল ১৫ হেক্টর মোট ৫০ হেক্টর। বাধাকপির জাত, কেকোক্রস ১৬ হেক্টর, কে ওয়াইক্রস ১৪ হেক্টর, এটলানস৭০ ২১ হেক্টর, ড্রামহেড ১৪ হেক্টর মোট ৬৫ হেক্টর। মিষ্টিকুমড়া বিউটি ৮ হেক্টর, সিয়াম ১০ হেক্টর, ব্লাকসুইট ৮ হেক্টর, হলান্ড ৪ হেক্টর মোট ৩০ হেক্টর।
চালকুমড়া ইউনিক ৪ হেক্টর, হিরা ৩ হেক্টর, স্থানীয় ৩ হেক্টর মোট ১০ হেক্টর। লালশাক আলতাপেটি ৫ হেক্টর, লিলিবতি ৬ হেক্টর, রঙ্গিলা ৪ হেক্টর মোট ১৫ হেক্টর, পালংশাক দেশী ১০ হেক্টর, গাজর আর্লী ২ হেক্টর, স্থানীয় ২ হেক্টর, মোট ৪ হেক্টর। লাউ মার্টিনা ২৮ হেক্টর, কিস্তি ২৫ হেক্টর, দেবজ্যোতি ২৬ হেক্টর, নাইচগ্রীন ২২ হেক্টর, হাইগ্রীন ৩২ হেক্টর, বর্ষা ১৫ হেক্টর, তনুসুপার ১২ হেক্টর মোট ১৬০ হেক্টর। নাপাশাক স্থানীয় ৫ হেক্টর।
বরবটি লংইয়াডবিন ১০ হেক্টর, টপগ্রীন ৭ হেক্টর মোট ১৭ হেক্টর। শশা প্রভাত ২ হেক্টর, হাইব্রিড ৩ হেক্টর, ফরচুন ২ হেক্টর মোট ৭ হেক্টর। পেঁপে রেডলেডি ০.৫ হেক্টর, সুইট লেডি ০.৫ হেক্টর, স্থানীয় ১ হেক্টর মোট ২ হেক্টর। গাজর আর্লী ১ হেক্টর, পেনস্টিকা ১ হেক্টর, টাকিপুরদা ২ হেক্টর মোট ৪ হেক্টর। টমেটো মহারাজ ৫ হেক্টর, রাজাবাবু ৭ হেক্টর, মিন্টু সুপার ৬ হেক্টর, মানিক ৬ হেক্টর, পুষারুবি ৪ হেক্টর, রতন ৪ হেক্টর মোট ৩০ হেক্টর। সর্বমোট ৬৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কৃষক রায়হান রঞ্জুর সাথে কথা তিনি বলেন, আগাম জাতের সবজি চাষে বেশি লাভ। তাই আমি এ বছর ৪৫ শতক জমিতে বাঁধাকপি লাগিয়েছি। গত বছর লাগিয়েছিলাম ২২ শতকে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কৃষকরা এ সমস্ত সবজি চাষে মাঠে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় আলু চাষে লক্ষ্য মাত্রা ১ হাজার ৮ শত হেক্টর ধরা হলেও তা ছাড়িয়ে ২ হাজার হেক্টর পর্যন্ত যেতে পারে। তবে পাশাপাশি আমরা উল্লিখিত সবজি চাষ গুলো লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশা করছি। এ ব্যাপারে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সহ সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর