পাঠ্য বইয়ের আলোকেই শিশুদের মানসিক বিকাশ গড়ে ওঠে,তাই ভুল থাকা কাম্য নয়। দেশের সকল প্রাচীন বিদ্যালয় গুলোকে বিশ্বের দরবারে আমাদের তুলে ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)সকালে সুনামগঞ্জের পৌর শহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে কথা গুলো বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রতি বছর পাঠ্যবই ছাপানোর সময় কিছু না কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখা যায়। এবার ত্রুটি কমাতে সরকার চেষ্টা করছে আর আমাদের পক্ষ থেকে ত্রুটি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এখন বই হাতে পেলেই বোঝা যাবে কতটুকু ফলপ্রসূ হয়েছে।
বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে এ উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মানসম্মত লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।
এসময় তিনি শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, একটা সময় পড়াশুনা করার জন্য দুর্গম এলাকা মধ্যনগর থেকে লঞ্চ দিয়ে শহরের এই ঐতিহ্যবাহী জুবলী স্কুলে আমি আসতাম। যখন লঞ্চ বন্ধ থাকত তখন নৌকা করে আসতাম। তাই আমার মনে হয় জুবলী স্কুলসহ দেশের সকল প্রাচীন বিদ্যালয় গুলোকে বিশ্বের দরবারে আমাদের তুলে ধরা উচিত।
এদিকে স্কুলের মাঠ দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি টিমওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাই স্কুলের মাঠে খেলাধুলা ছাড়া অন্যকিছু আয়োজন করা ঠিক নয়। আর স্কুলের মাঠে সব সময় খেলাধুলা থাকতে হবে, না হয় দখল দাড়িত্বের মনোভাব গড়ে উঠবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
এর আগে বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে বছর শেষ ক্লাস পার্টি কেক কেটে উদ্যাপন করেন তিনি। পরে শৈশবে কাটানো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও পুরোনো সেই লঞ্চঘাট ঘুরে দেখেন তিনি।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বিরোধা রানী রায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হাসান শাহীন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর