ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙ্গা উপজেলার হাসমদিয়া থেকে (হাসমদিয়া বিলের মধ্যে) তুজারপুরের রথখোলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের ইট।
এই বিষয়ে ইউনুস খান নামের এক কৃষক জানান, এর আগে রাস্তা নির্মাণের সময় বালু দেয় নি রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে এখন তিন নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ইট দিয়ে রাস্তা হয় না। এরকম ইটের রাস্তার চেয়ে মাটির রাস্তায় ভালো। আমরা চাই ভালো ইট দিয়ে আমাদের রাস্তা নির্মাণ করা হোক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার হাসমদিয়া থেকে (হাসমদিয়া বিলের মধ্যে) তুজারপুরের রথখোলা পর্যন্ত জাইকার অর্থায়নে রাস্তার কাজ চালমান। ৩ হাজার ৬'শ মিটার সড়ক ও ২ টি ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
নাগরিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের দাবি বার বার প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর কেনো তারা নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করছেন মাথায় আসছে না। অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজের ধীরগতি প্রকল্পের মেয়াদ বার বার বাড়িয়ে ঠিকমতো কাজ করছেন না, এছাড়াও প্রকল্পের ব্যয়ে তো অধিক টাকা দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উচিত ভালো ইটের ব্যবহার করা।
এই বিষয়ে সদ্য সাবেক প্রকল্প কর্মকর্তা মানষ বোস জানান, তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে চিঠি দিয়েছিলেন ঠিকমতো কাজ করা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি কেমন যেন গা ছাড়া ভাব রয়েছে। বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার মুঠোফোন ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা রেসপন্স করেননি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, আমি আগে বিষয়টি জানি তারপর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর