সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সেতুতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুজিত দাস হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব-৯ সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন-সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শালদিঘা আনছার আলীর ছেলে আলী হায়দার (৩৬),হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আব্দুল হাই এর ছেলে মো. শিবলু মিয়া (২০),হবিগঞ্জ সদরের নোহাটি গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (২৬)।
র্যাব-৯র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নেমে র্যাব-৯’র সুনামগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এর পূর্বে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সেতু থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুজিত দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিহতের ভাই সুবাস দাস বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১১(১১)’২৪) দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ বাজারের অটোস্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক মাস ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন সুজিত দাস। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দপুরে যান। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয়রা রানীগঞ্জ সেতুর উপর রক্তাক্ত অবস্থায় সুজিত দাসের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় মানুষ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ধারণা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর