
নীলফামারীতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মেহের নেগার মেঘলা (৪৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরেক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী সদরের পাঁচমাথা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মেঘলা চাপড়া যাদুরহাট এলাকার রাশেদুল ইসলাম সেলিমের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে তিনি সহকর্মীর সাথে মোটরসাইকেল যোগে পাঁচমাথা মোড় এলাকা থেকে যাদুরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময়ে অপরদিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কা লাগলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর সাইদ জানান, এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে নীলফামারীর ডোমারে পৃথক ঘটনায় দুটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় বিউটি আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রেজওয়ান কবির নাসির (২৯) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তিরহাট সাতঘরিতা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ বিউটি আক্তার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া গ্রামের আজিমুল ইসলামের মেয়ে। নিহত বিউটি আক্তারের স্বামী নাসির ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের মুক্তিরহাট সাতঘরিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
বিউটি আক্তারের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বোনের বিয়ে হয়। বেলাল হোসেনের ছেলে রেজওয়ান কবির নাসিরের সাথে। তাদের একটি তিন বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিবাহের পর থেকে আমার বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও আমার বোনের স্বামী একলক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য প্রায় সময়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার বোন তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের নির্যাতন সহ্য করে আসছে। গতকাল রাতে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য গালিগালাজ সহ তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামী রেজওয়ান কবির নাসির ঘুমন্ত অবস্থায় বোনের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটিকে তারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পরে আমার বোনের লাশ তারা ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে এবং আমাদের খবর দেয়, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।’
এ ঘটনায় বিউটি আক্তারের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এছাড়া আত্মহত্যার চেষ্টার ৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রশিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।আজ (২০ নভেম্বর) বুধবার সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিহত রশিদুল ইসলাম ডোমার উপজেলার বড় রাউতা মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের মৃত নম মামুদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
ডোমার সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেশীর মিথ্যা অভিযোগে দুপক্ষের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রশিদুল ইসলাম ঘাস মারা কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রশিদুল ইসলামের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর