ফজরের নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায়, জামাত শুরু হয়ে গেছে। অথবা মুয়াজ্জিন নামাজের ইকামত দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, সুন্নত পড়া যাবে কি না। এ সময় দেখতে হবে যে, সুন্নত পড়ার পর ইমামকে কমপক্ষে দ্বিতীয় রাকাতে পাওয়া যায় কি না। যদি এমন সম্ভাবনা থাকে তাহলে সুন্নত পড়ে তারপর জামাতে শরিক হতে পারবেন। অথবা ইমামের সঙ্গে জামাতে শরিক হয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। এরপর সূর্যোদয় হলে সুন্নত আদায় করা যাবে।
আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি একদা লোকদের নিকট এমন সময় আসি যে, তারা কাতারবদ্ধ হয়ে ফজর নামাজ আদায় করছিলেন। আমি তখন ফজরের দু’রাকাত সুন্নত আদায় করি তারপর তাদের সঙ্গে নামাজে শরীক হই। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হাদিস ৬৪৮২)
নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইবনে ওমর (রা.) একদা ফজর নামাজের জন্য পোশাক পরিধান করছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ইকামত শুনতে পেলেন, তিনি তখন কামরায় ফজরের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করলেন তারপর বের হয়ে লোকদের সঙ্গে ফরজ আদায় করলেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস ৪০১৯)
আবু উবায়দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, আবু দারদা (রা.) কখনো মসজিদে এসে দেখতেন, ফজরের জামাত চলছে। তিনি মসজিদের এক কোণায় (ফজরের) দুই রাকাত (সুন্নত) পড়ে নিতেন। তারপর জামাতে শরীক হতেন। (শরহু মাআনিল আসার : ১/৬২১)
আবু উসমান নাহদী (রাহ.) বলেন আমরা ওমরের (রা.) নিকট ফজরের সুন্নত না পড়ে এসে যদি দেখতাম যে তিনি ফজরের জামাতে আছেন তাহলে আমরা মসজিদের শেষ দিকে এসে সুন্নত পড়ে নিতাম তারপর জামাতে শরীক হতাম। (শরহু মাআনীল আছার ১/২৫৬)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী ও হুযায়ফা (রা.) একবার সাঈদ ইবনে আসের নিকট থেকে বের হলেন। ইতিমধ্যে ফজর নামাজের ইকামত হয়ে গেল। তখন ইবনে মাসউদ (রা.) দু’রাকাত সুন্নত পড়ে লোকদের সঙ্গে নামাজে শরীক হলেন, আর আবু মুসা আশআরী ও হুযায়ফা (রা.) কাতারে প্রবেশ করলেন। (শরহু মাআনীল আসার, ১/২৫৫)
আবু মিজলায (রাহ.) বলেন, আমি ফজর নামাজে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদে এমন সময় প্রবেশ করলাম যে ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন, তখন ইবনে আব্বাস (রা.) দু’রাকাত সুন্নত পড়ে ইমামের সঙ্গে শরীক হলেন। আর ইবনে ওমর (রা.) ইমামের সঙ্গে নামাজে শরীক হয়ে গেলেন। ইমাম সালাম ফেরানোর পর তিনি সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে থাকলেন তারপর উঠে দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন। (প্রাগুক্ত : ১/২৫৫)
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর